বসনিয়া ক্যাম্পে বাড়ছে কোভিড- ১৯ সংক্রমণ

0
1006
ছবি: ইনফো মাইগ্রেন্টস

বসনিয়া ক্যাম্পের অভিবাসী ও শরণার্থীরা ক্রমবর্ধমান হারে কোভিড -১৯ এ সংক্রামিত হচ্ছেন। মহামারী শুরুর পর থেকেই বসনিয়া অভিবাসী ক্যাম্পে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের খবর পাওয়া গেলেও বর্তমানে এই হার উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে।

বার্তা সস্থা এপি এর তথ্যানুসারে, গত দু’সপ্তাহে শুধু একটি ক্যাম্পেই ১৪৭ জনের সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এবং মহামারী ছড়ানোর পর থেকে অভিবাসীদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৬৫ জনের সংক্রমণের রেকর্ড করা হয়েছে।

বসনিয়াতে ছয় হাজারেরও বেশি অভিবাসন-প্রত্যাশী আছেন যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র ক্রোয়েশিয়ার সীমান্ত পেরিয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। বেশিরভাগ অভিবাসন- প্রত্যাশীদের আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে তবে অন্যরা ক্রোয়েশিয়ান সীমান্তে পরিত্যক্ত বাড়ি বা অস্থায়ী তাঁবুতে অবস্থান করছেন।

মিরাল ক্যাম্পের বাইরে অবস্থানরত কয়েকজন অভিবাসন-প্রত্যাশী । ছবি: ইনফো মাইগ্রেন্টস

কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যবাধকতায় উত্তেজনা বাড়ছে

ক্যাম্পে থাকা বেশিরভাগ অভিবাসন-প্রত্যাশী লকডাউন ব্যবস্থা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে প্রায় ৫০ জন অভিবাসী দেওয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যান।

এপি জানিয়েছে, এই ঘটনার পরে আশ্রয় কেন্দ্রের পরিচালনায় থাকা জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর সমালোচনা করেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নারমিনা সেমালোভিক বলেছেন, ‘এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের পর্যবেক্ষণের বাইরে এবং ক্যাম্পের বাইরে অবস্থানরত অভিবাসীসহ এই বিপুল সংখ্যক কোভিড পজিটিভ অভিবাসীর বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’

ডিআরসি এর দাবি ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’

কোভিডের কারণে ইউরোপের সবচেয়ে খারাপ অবস্থানের দেশগুলোর মধ্যে বসনিয়া অন্যতম, যেখানে ৩৩ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে সাত হাজারের ও বেশি কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তবে মহামারীকালীন বসনিয়ার অভিবাসী ও শরণার্থীদের জন্য কাজ করছে এমন শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান ডেনিশ শরণার্থী কাউন্সিল (ডিআরসি) এর পরিচালক লিকোলা বে বলেছেন যে, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, নতুনভাবে শনাক্তদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে । তবে এখনও পর্যন্ত কোনো রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তর করার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’

উল্লেখ্য, বসনিয়া থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার ভেতরে মিরাল ক্যাম্পের অবস্থান । জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম মিরাল ক্যাম্পটি পরিচালনা করছে । আইওএম বলছে, মোট সাত’শ জনের ধারণ ক্ষমতার এই ক্যাম্পটিতে বাংলাদেশীদের হার ২৮ শতাংশ। এছাড়াও পাকিস্তান মরক্কো, আফগানিস্তান, সিরিয়া, আলজেরিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের অভিবাসন-প্রত্যাশীরাও রয়েছেন সেখানে ।

সুত্রঃ এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here