বসনিয়ায় অভিবাসীদের থাকার জায়গা নির্মাণে ইইউ’র ৪২ লাখ ডলার বরাদ্দ

0
999


তীব্র শীত আর তুষারঝড়ের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন বসনিয়া-হার্জেগোভিনা সীমান্তে অবস্থানরত শত শত অভিবাসী ও শরণার্থী। প্রায় আশ্রয়হীন ও মানবেতর জীবনযাপন করা এ মানুষদের জন্য তুলনামুলক উপযুক্ত আবাসস্থল নির্মাণের লক্ষ্যে ইউরোপিয় ইউনিয়ন ৩৫ লাখ ইউরো বা ৪২ লাখ ডলার অর্থ সহায়তা বরাদ্দ করেছে বলে নিশ্চিত করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক ও নিরাপত্তা নীতিসংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ও ইউরোপিয়ান কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোরেল ও সিভিল প্রোটেকশন কমিশনার ইয়ানেস লিনারচিচ গত রোববার ব্রাসেলসে আয়োজিত এক সভায় বলেন, প্রায় আটশোর মতো অভিবাসী এই ঠাণ্ডার মধ্যে বাইরে অবস্থান করছেন, এর মধ্যে শিশুও রয়েছে। উনা সানার পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বোরেল বলেছেন, ‘একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’। তিনি এসময় সংশ্লিষ্টদের মনে করিয়ে দেন, মানবিক আচরণ দিয়ে সবসময় অন্যদের সুরক্ষা করা প্রয়োজন। ইউরোপিয় ইউনিয়নের এ কর্তাব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, অভিবাসীরা যেন সঠিক সুরক্ষা পায় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য অস্থায়ীভাবে হলেও সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, অন্তত যতক্ষণ লিপা ক্যাম্প স্থায়ীভাবে পুনরায় নির্মাণ করা না হচ্ছে।
উত্তর-পশ্চিম বসনিয়া-হার্জেগোভিনার লিপা ক্যাম্পে গত ২৩ ডিসেম্বর আগুন ধরে যায়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আশ্রয়শিবির একেবারেই ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হয়ে গেছে। এর ফলে বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে শত শত মানুষ বাইরে রাতযাপন করতে বাধ্য হয়। তারপরও বসনিয়ার সরকার নতুন করে তাদের থাকার জায়গা তৈরী করে দিতে সময়ক্ষেপণ করে। এরপর অবশ্য আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে বসনিয়া আশ্রয়শিবিরে তাঁবু পাঠায়। তবে রেড ক্রস নিশ্চিত তথ্য দিয়ে জানাচ্ছে, বসনিয়ার সরবরাহ করা পাতলা তাঁবুতে শীত না কমায় এবং শিবিরে পানির ব্যবস্থা না থাকায় অভিবাসীরা বসনিয়া সরকারের দেয়া ওই সুবিধা নিতে অস্বীকার জানিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে। এসময় অভিবাসী ও শরণার্থীরা তাদের কাছে সরবরাহ করা খাবার পর্যন্ত খেতে অস্বীকার জানায়।#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here