শ্রম ও আবাসিক আইন এবং সীমান্ত সুরক্ষা বিধি লঙ্ঘনের দায়ে গত এক সপ্তাহে সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১২ হাজার ৮২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট সময়কালে নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (জাওয়াজাত) যৌথ অভিযানের সময় এদের গ্রেফতার করা হয়।
আবাসিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৪ হাজার ৩৬৬ জন এবং ৭ হাজার ৩৬৯ জনকে সীমান্ত সুরক্ষা বিধি লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১ হাজার ১২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের সময় গ্রেফতার হয়েছেন ২৯২ জন। এদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ ইয়েমেনের নাগরিক, ৪৩ শতাংশ ইথিওপিয়ার নাগরিক এবং অন্যান্য দেশ মিলিয়ে ৯ শতাংশ নাগরিক রয়েছেন। অন্যদিকে নিরাপত্তা বাহিনী আরো তিনজনকে গ্রেফতার করেছে, যারা বিধি লঙ্ঘন করে সীমান্ত পেরোনোর ক্ষেত্রে এসব ব্যক্তিদের সহযোগিতা ও আশ্রয় দিয়েছিলেন।
বর্তমানে আইন লঙ্ঘনকারীদের মধ্যে যাদেরকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে, তাদের সংখ্যা ৭৪ হাজার ৪৫৬ জনের বেশি। যার মধ্যে পুরষ ৬১ হাজার ৭৪৪ জন এবং নারীর সংখ্যা ১২ হাজার ৭১২ জন। এদের মধ্যে ৫৭ হাজার ৬৯৯ জন অভিযুক্তকে সৌদি আরব থেকে বিতাড়িত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাদেরকে স্ব স্ব কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়েছে যে, যদি সীমান্তের নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন করে দেশটিতে প্রবেশের জন্য কাউকে সহায়তা করতে গিয়ে কেউ ধরা পড়ে অথবা গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া বা আশ্রয় দেয়াসহ যেকোনো উপায়ে সহায়তা বা সেবা প্রদান করে থাকে, তাহলে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে তাদের সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে।
এছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যমে তাদের নাম প্রচারের পাশাপাশি ১০ লাখ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। শুধু তাই নয়, যে যানবাহনে করে অপরাধ সংগঠিত করা হবে এবং যেখানে আশ্রয় দেয়া হবে, সে সবকিছুই বাজেয়াপ্ত করা হবে।
সৌদি গেজেট