ইউরোপের অধরা স্বপ্ন থেমে গেল লিবিয়ায়, ফিরলেন লাশ হয়ে। বিশেষ বিমানযোগে লিবিয়া থেকে বিভিন্ন সময় মৃত্যুবরণকারী ৭ প্রবাসী বাংলাদেশীর মরদেহ দেশে পাঠানো হয়েছে। একই বিমানে ফিরেছেন ১৪৮ বাংলাদেশী।
বেসরকরি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছয়। এরপর প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও আর্মড পুলিশের সহায়তায় (এপিবিএন) সহায়তায় তাদের খাবারসহ জরুরী সহায়তা দেয় ব্র্যাকের একটি টীম। এছাড়া আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওম তাদের বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রত্যেককে অর্থ সহায়তা করেছে। সকালে নামলেও বিমানবন্দরে তাদের আনুষ্ঠানিকতা দুপুর ১ টা পর্যন্ত শেষ হয়নি। এই বাংলাদেশীরা ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়া গিয়েছিলেন বলে আমরা জেনেছি। বিমানবন্দের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লিবিয়া থেকে বাংলাদেশীদের নিয়ে ফ্লাইটিট বেনিনা বিমানবন্দর থেকে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় উড্ডয়ন করে। ফেরত আসা বাংলাদেশীদের বেশিরভাগই ভ্রমণ ভিসায় দুবাই হয়ে ইউরোপের উদ্দেশে লিবিয়া গমন করেছিলেন।
অভিবাসী পরিচয়ে হাজারো মানুষের সীমানা পেরোনোর সারি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘায়িত হচ্ছে লাশের সংখ্যাও। ২০২০ সালে হাজার হাজার অভিবাসী কেউবা মরুভূমি, সাগর, পাহাড় ও পর্বতমালা পাড়ি দিয়েছে,কেউবা বনের মধ্য দিয়ে হেঁটে হেঁটে ইউরোপের কাঙ্খিত দেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন, যা কিনা মারাত্বক বিপর্যয় ডেকে এনেছিল অভিবাসীদের জীবনের ওপর। স্বপ্নের দেশগুলোতে ঢুকতে গিয়ে অনেকেরই সলিল সমাধি হয়েছে সমুদ্রের ঢেউয়ের তোড়ে, আবার অনেকেই লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারগুলোর মতো জায়গায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।