আমিনুল হক তুষার

বিশ্বব্যাপী শ্রম অভিবাসনকে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে ‘অভিবাসন সংক্রান্ত বৈশ্বিক চুক্তি’ উত্থাপন করে। যেখানে স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদে অবস্থানকালীন অভিবাসীদের মৌলিক অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষার জন্য করণীয়সমূহ সুস্পষ্ট রূপে উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও এটি একটি নন-বাইন্ডিং ডকুমেন্ট, অর্থাৎ সদস্য দেশ বা গ্রহণকারী দেশ এর সকল শর্ত মানতে বাধ্য নন, বা আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তাদের জবাবদিহিতার বাধ্যবাধকতা কম। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ২৭২ মিলিয়নের বেশি অভিবাসীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (১০.৭) নম্বর লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, নিজ দেশ ও অবস্থানকারী দেশে অভিবাসীদের সুরক্ষা, মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই চুক্তিটি প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু অভিবাসীদের সুরক্ষায় গৃহীত এই চুক্তি সম্পর্কে বেশিরভাগ অভিবাসীই অবগত নন কিংবা অনুধাবন করতে পারেন না। বিশেষ করে অভিবাসী শ্রমিক, যারা গন্তব্য দেশগুলোতে প্রতিনিয়তই শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হন।
তাই এই চুক্তিটির ভাষাগত দুর্বোধ্যতা দূর করে, এর মূল বিষয়বস্তু তাদের কাছে সহজ ও সংক্ষিপ্তরূপে উপস্থাপনের জন্যই আজকের এই সহজ পাঠ লেখাটি।

অভিবাসন সংক্রান্ত বৈশ্বিক চুক্তিটি মূলত: বৈশ্বিক অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মহলকে নিজ দেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, স্বকীয়তা বজায় রেখে অভিবাসী বান্ধব আইন ও নিয়ম-নীতি প্রণয়নে সহযোগিতা করার জন্য প্রণীত হয়েছে। এটি এমন একটি সমবায় কাঠামো যা ‘নিউইয়র্ক ঘোষণার’ (অভিবাসী ও শরণার্থীদের অধিকার রক্ষার দলিল) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সদস্য দেশগুলোর মতামতের ভিত্তিতে গঠন করা হয়েছে।
অভিবাসন মানব ইতিহাসে খুব গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাচীন একটি প্রক্রিয়া, যা উৎস ও গ্রহণকারী উভয় দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। তাই এই চুক্তিটি প্রণয়নের সময় বেশ কিছু ক্রস-কাটিং ইস্যু যেমন: অভিবাসী ব্যক্তি, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব, আইনের শাসন, টেকসই উন্নয়ন, মানবাধিকার, জেন্ডার সহনশীলতা, শিশু সুরক্ষা, সরকার ও সমাজ ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে, যেন এটি সর্বজনীনভাবে গৃহীত হয়। বৈশ্বিক এই চুক্তিটির সর্বমোট ২৩টি লক্ষ্য বা অভিপ্রায় রয়েছে এবং এটির কার্যকর ও সঠিক বাস্তবায়নের জন্য সাকুল্যে ১৮৭টি নির্দেশিকা রয়েছে।
ব্যক্তিগত ডাটাবেস সংরক্ষণ
প্রথম অভিপ্রায়টিতে মূলত: প্রমাণভিত্তিক ও যৌক্তিক রাষ্ট্রীয় অভিবাসী নীতি প্রণয়নের জন্য অভিবাসীদের সঠিক ও শ্রেণীবিন্যাসিত তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণের উপর জোর দেয়া হয়েছে। যেন সদস্য দেশসমূহ অভিবাসী ও নাগরিকদের লিঙ্গ-পেশা-বয়স ও দক্ষতা ভিত্তিক ডাটাবেস সংরক্ষণ করে তার সার্বিক পর্যালোচনা ও গবেষণা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে।
কৌশলগত পরিকল্পনা
দ্বিতীয় অভিপ্রায়টিতে উৎস দেশসমূহ থেকে যে সকল প্রতিবন্ধকতা বা সমস্যার কারণে মানুষ বাধ্য হয়ে বিদেশমুখী হচ্ছে তা পর্যালোচনা করে ওইসব সদস্য রাষ্ট্রকে তা লাঘবের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নিজ দেশে কর্মসংস্থানের সীমাবদ্ধতা, দরিদ্রতা, নাগরিকদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রাকৃতিক বা পরিবেশগত ঝুঁকি ইত্যাদি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সদস্য দেশসমূহ নীতি ও কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।
তথ্যের সরবরাহ
সঠিক ও নিরাপদ অভিবাসনের তথ্য প্রাপ্তি বরাবরই অভিবাসন প্রত্যাশী ব্যক্তির কাছে চ্যালেঞ্জিং। এই জন্য তৃতীয় অভিপ্রায়ে উল্লেখ আছে, সদস্য দেশ অভিবাসীদের অভিবাসনের প্রতিটি ধাপে বা পর্যায়ে সময়মতো সঠিক তথ্য সরবরাহ করবে। এ জন্য সদস্য দেশসমূহ অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা নির্দিষ্ট তথ্য কেন্দ্র থেকে অভিবাসীদের প্রাক-অভিবাসন সিদ্ধান্ত, বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ, দক্ষতা উন্নয়ন, ভাষা শিক্ষা, গন্তব্য দেশের রীতি-নীতি ইত্যাদি সম্পর্কে বিশদ ধারণা ও তথ্য সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

ভ্রমণ নথি
অন্যদিকে, চতুর্থ অভিপ্রায়ে উল্লেখ রয়েছে যে সকল সদস্য দেশ অভিবাসীদের বৈধ পরিচয় ও বৈধ অভিবাসনের পর্যাপ্ত ডকুমেন্টস বা নথি সরবরাহ নিশ্চিত করবে। এক্ষেত্রে, উৎস দেশ ও অভিবাসী গ্রহণকারী দেশ যৌথভাবে অভিবাসীদের কম্পিউটারাইজ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন এবং সঠিক ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে ভ্রমণ নথি সংরক্ষণ করবে।
দ্বিপাক্ষিক চুক্তি
পঞ্চম অভিপ্রায়ে উল্লেখ আছে, অভিবাসনকে নিয়মিত ও বৈধ করণের জন্য সকল দেশ অভিবাসীদের জন্য সমান সুযোগ ও নমনীয় উপায় উন্মুক্ত রাখবে। মানব পাচার প্রতিরোধ ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিভিন্ন দেশের মধ্যে শ্রম বাজারের চাহিদা ভিত্তিক দক্ষ শ্রমিক অভিবাসনের জন্য প্রয়োজনে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে হবে ও ক্ষেত্রবিশেষে অভিবাসনের নীতি শিথিল করতে হবে।
শোভন কর্মক্ষেত্র
ষষ্ঠ অভিপ্রায়ে মূলত: শোভন কর্মক্ষেত্র ও সমতা-ন্যায্যতা ভিত্তিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য সদস্য দেশগুলোকে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনে যে সকল সদস্য দেশ (বিশেষ করে শ্রমিক গ্রহণকারী) আইএলও’র কনভেনশন গুলো অনুস্বাক্ষর করেনি বা সমর্থন দেয়নি, তা সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে- বিশেষ করে যেখানে সকল ধরণের শ্রমিকদের অধিকার সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতি আরোপ করা হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্টদের মনিটরিং ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার বিষয়টিও এই অভিপ্রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঝুঁকি নিরসন
অভিবাসনের ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ ও তা হ্রাসকরণের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি এই চুক্তির সপ্তম অভিপ্রায়ে উল্লেখ রয়েছে, যেখানে প্রয়োজনীয় অভিবাসন আইন ও নীতি প্রণয়নের উপরে জোর দেয়া হয়েছে।অন্যদিকে অষ্টম অভিপ্রায়ে নিখোঁজ বা কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের জীবন রক্ষার্থে আন্তর্জাতিক সহায়তার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
মানব পাচার
নবম অভিপ্রায়ে অভিবাসীদের অপহরণ রোধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেবা ও সাড়া প্রদান কার্যক্রম জোরদার করার বিষয়টি উল্লেখ আছে । যেখানে অভিবাসীদের দিয়ে জোরপূর্বক শ্রম, অর্থ আদায় ও মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য আন্তর্জাতিক সনদ ও নির্দেশনা অনুযায়ী আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক জোট এবং ফোরামগুলোকে এক সঙ্গে কাজ করার জন্য কৌশল প্রণয়নের উপরে জোর দেয়া হয়েছে।
অভিবাসনের আড়ালে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনে সদস্য দেশগুলোর কি ধরণের কাজ বা নীতি নির্ধারণ করতে হবে তা চুক্তিটির দশম অভিপ্রায়ে বলা হয়েছে। নিরাপদ অভিবাসনের অন্যতম ফ্যাক্টর হচ্ছে নিরাপদ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা- যা সদস্য দেশগুলোর সমন্বয়ে করতে হবে। তাই সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বা ইমিগ্রেশন পদ্ধতি সুশৃঙ্খল করতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা চুক্তিটির ১১তম অভিপ্রায়ে উল্লেখ রয়েছে।
আইনি কাঠামো
আবার, অভিবাসন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে অভিবাসী নির্বাচন, নিরীক্ষা ও পর্যালোচনার কার্যক্রম জোরদারকরণের বিষয়টি ১২তম অভিপ্রায়ে উল্লেখ আছে। অনেক সময় কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের গন্তব্য দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করার অপরাধে দীর্ঘদিন জেলে বা পুলিশ হেফাজতে আটকে রাখে, যা অভিবাসীদের জন্য পীড়াদায়ক ও মানবাধিকার পরিপন্থী।তাই ইমিগ্রেশন ডিটেনশনের নামে অভিবাসীদের হয়রানি লাঘবের জন্য স্বল্প সময়ের মধ্যে গন্তব্য দেশ ও উৎস দেশের সমন্বয়ে নির্দিষ্ট আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে সমাধানের জন্য নির্দেশনা ও করণীয় চুক্তিটির ১৩তম অভিপ্রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

মৌলিক সেবা
অভিবাসীরা প্রায়ঃশই অভিযোগ করেন, বিদেশে অবস্থানরত নিজ দেশের দূতাবাসগুলো তাদের সঠিক সময়ে ও কার্যকরভাবে সহায়তা করেন না। যার পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তিটির ১৪তম অভিপ্রায়ে অভিবাসনের প্রতিটি ধাপে অভিবাসীদের সহায়তা ও সুরক্ষার জন্য কনস্যুলার ও দূতাবাসগুলোকে কি ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বা সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে তা সুস্পষ্টরূপে বলা হয়েছে। এছাড়া অভিবাসীদের মৌলিক সেবা প্রাপ্তি যেমন: তথ্য, আইনি সহায়তা, ও সুরক্ষার কথা ১৫তম অভিপ্রায়ে স্পষ্ট করা হয়েছে।
ক্ষমতায়ন
অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাসের জন্য অভিবাসীদের ক্ষমতায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে ১৬তম অভিপ্রায়ে। যেখানে অবস্থানকারী দেশের আইন ও রীতি-নীতির প্রতি অভিবাসীরা কিভাবে শ্রদ্ধাশীল থাকবেন ও সম্ভাব্য সামাজিক সংঘর্ষ (জেনোফোবিয়া, বা লিঙ্গভিত্তিক নিপীড়ন) এড়িয়ে জীবন যাপন করবেন, সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে।
আবার ১৭তম অভিপ্রায়ে অভিবাসীদের প্রতি সকল ধরণের বৈষম্যের বিলোপের কথা বলা হয়েছে। যেহেতু বর্তমান বিশ্বে দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই দক্ষ শ্রমিক তৈরী ও সর্বজন স্বীকৃত দক্ষতা সনদ প্রদানের জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব ১৮তম অভিপ্রায়ে বলা হয়েছে।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা
অভিবাসীদের নিজ দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে পরিবেশ তৈরী ও নীতি প্রণয়নের জন্য নির্দেশনা ১৯তম অভিপ্রায়ে বলা হয়েছে, যেখানে বৈধ মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো ও উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের জন্য প্রবাসীদের অধিক অংশগ্রহণ নিশ্চিতে উৎস দেশ কিভাবে কাজ করবে তার সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। এছাড়া বৈধপথে, কম খরচে রেমিট্যান্স ট্রান্সফার, ও অভিবাসী পরিবারের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য সদস্য রাষ্ট্রকে কী কী করতে হবে তা ২০ নম্বর অভিপ্রায়ে বর্ণনা করা হয়েছে।
চুক্তি ভিত্তিক চাকুরি বা দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে অভিবাসীরা সাধারণত অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে সুরক্ষিত একটি জীবন যাপনের জন্য নিজে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তারা সঠিকরূপে সমাজে খাপ-খাওয়াতে বা একত্রিত হতে পারেন না। তাই তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনকে নিরাপদ ও মর্যাদাশীল করতে কী ধরণের কার্যক্রম ও নীতি প্রণয়ণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে তার নির্দেশনা ২১ নম্বর অভিপ্রায়ে বলা হয়েছে। এছাড়া অভিবাসী ও তাদের পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণের বিষয়টি সদস্য দেশগুলো কিভাবে করবে তা ২২ নম্বর অভিপ্রায়ে বিশদভাবে বর্ণনা করা আছে।
আন্তর্জাতিক সমন্বয়
সর্বশেষ অভিপ্রায়ে বলা আছে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক চুক্তি বা নীতির মাধ্যমে অভিবাসনকে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিতকরণের প্রক্রিয়া জোরদার করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরাম, এসোসিয়েশন, বা প্লাটফর্মকে চুক্তিটির বাস্তবায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি, মনিটরিং কাঠামো প্রণয়নসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
যদিও বৈশ্বিক চুক্তিটির ব্যাপকতা অনেক এবং এর সঠিক বাস্তবায়নও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ও কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও তাদের মর্যাদা সুরক্ষার জন্য এর সঠিক বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যকীয়। যার জন্য প্রয়োজন সদস্য দেশগুলোর ঐকান্তিক ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা।
লেখক: অভিবাসন বিশ্লেষক ও উন্নয়নকর্মী