চলতি বছর এখনো শেষ হয়নি কিন্তু এর মধ্যেই ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর) তাদের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে, সারা পৃথিবীতে বাধ্য হয়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানটি জানাচ্ছে এ মুহূর্তে পৃথিবীতে আট কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুহারা হয়ে জীবন যাপন করছে।
ইউএনএইচসিআর এর করা চলতি বছরের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিপীড়ন, দ্বন্দ্ব এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে প্রায় ৭৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন মানুষ বাধ্য হয়েছে তাদের নিজ বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে। এর মধ্যে ২৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন শরণার্থী, ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন আশ্রয়প্রার্থী এবং বাকি ৪৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণ বা নিজ দেশের মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
যুদ্ধ, সংঘাত এবং করোনা মহামারির মতো দুর্যোগ বাস্তুচ্যুত মানুষের তালিকাকে দীর্ঘায়িত করার ক্ষেত্রে বড় ভ‚মিকা রেখেছে বলে মনে করছে ইউএনএইচসিআর।
এদিকে ইউএনএইচসিআর এর হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেছেন, শেষ দশকে বাধ্য হয়ে ঘরহারা মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ কোটিতে। ফিলিপ্পো গ্রান্ডি একে আরেকটি নির্মম মাইলফলক বলে অভিহিত করছেন, যদি বিশ্ব নেতারা যুদ্ধ না থামায় তাহলে এ সংখ্যা বেড়েই চলবে।
ইউএনএইচসিআর এর মধ্য বার্ষিকীর প্রতিবেদন অনুযায়ী শরনার্থীদের মধ্যে ৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন সিরিয়া হতে, ৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন এসেছে ভেনেজুয়েলা থেকে, ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন এসেছে আফগানিস্তান থেকে, ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন এসেছে দক্ষিণ সুদান থেকে। ইউএনএইচসিআর আরো বলছে, সারা পৃথিবীর মধ্যে যে দেশগুলো শরণার্থী গ্রহণ করছে তাদের মধ্যে তুরস্ক সবার চেয়ে এগিয়ে। শুধু এর নিবন্ধিত টেরিটরি থেকেই দেশটিতে প্রবেশ করেছে ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষ। জার্মানি রয়েছে এ তালিকার পঞ্চম স্থানে, বর্তমানে দেশটিতে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন শরণার্থী অবস্থান করছে।