সৌদি আরবের পবিত্র কাবা শরীফে রোববার থেকে করোনার বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, এখন থেকে আর সামাজিক দুরত্ব বিধি মানতে হবে না। সম্পূর্ণ বিধিমুক্ত পরিবেশে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে পারবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।
পবিত্র কাবা ঘরের চত্বরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নির্দেশনামূলক মেঝের চিহ্নগুলি মুছে ফেলা হয়েছে।
সরকারি সৌদি বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা শিথিল করার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাবাঘরে মুসল্লীদেরকে প্রবেশ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ, আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ এখন একসঙ্গে মসজিদে ঢুকতে পারবেন।
সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র কাবা শরীফে রোববার থেকে পুরোপুরিভাবে করোনা বিধিমুক্ত পরিবেশে ধর্মীয় আচার পালন চালু হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর প্রথমবারের মতো মুসল্লীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় করেছেন।
রোববার সকালের ছবি ও ফুটেজে মুসল্লীদেরকে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। গত বছর করোনা মহামারী দেখা দেয়ার পর প্রথমবারের মতো এ দৃশ্য দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা তুলে নেয়া হলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লীদেরকে অবশ্যই করোনা ভাইরাসের সম্পূর্ণ টিকা গ্রহন করতে এবং কাবা চত্বর এলাকায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অর্থাৎ দুই ডোজ টিকা নিলেই কেবল মক্কায় প্রবেশ করার অনুমতি মিলবে। রোববার সৌদি আরবের সরকারি সংবাদসংস্থা এসপিএ এই খবর জানিয়েছে।
তবে নিয়ম খানিকটা শিথিল হলেও কাবার চারধারে যে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল, এখনই তা তুলে ফেলা হবে না বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দর্শনার্থী ও মুসল্লীদের জন্য পুরোপুরিভাবে মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হল। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই পবিত্র স্থান জনাকীর্ণ হয়ে উঠবে।
সৌদি সরকার মক্কা মদিনাসহ অন্য শহরগুলোতে করোনাকালীন বিধি নিষেধ শিথিল করতে শুরু করেছে। এর আগে খেলার মাঠ খুলে দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া এটাও বলা হয়েছে যে, খোলা জায়গায় মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক নয়। তবে জনসমাগম বেশি থাকলে, সেখান মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
সৌদি আরবে করোনাভাইরাসে পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার জনের বেশি আক্রান্ত এবং আট হাজার সাত শত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সৌদি আরব যখন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তখন বিশ্বের অনেক দেশে নতুন করে করোনার ভয়াবহতা শুরু হয়েছে। ফের সংক্রমণ বাড়ছে রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যে।