বুধবার ঘোষিত একটি চুক্তি অনুসারে সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে স্থলসীমান্ত পুনরায় খোলার ফলে বাসের টিকিটের জন্য ভিড় শুরু হয়েছে। হাজার হাজার যাত্রী টিকিট কেনার জন্য অনলাইনে আসন বুকিং করে রেখেছিলেন।
সংবাদ মাধ্যম স্ট্রেইটস টাইমস এবং চ্যানেল নিউজ এশিয়া জানিয়েছে, ট্রান্সটারের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে- পরবর্তী ৩০ দিনের সমস্ত টিকিট প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে।
সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ান সীমান্ত পুনরায় খোলার প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিদিন দুই হাজার ৮৮০ জনকে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে। প্রতিটি বাস সর্বোচ্চ ৪৫ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
২০ হাজারেরও বেশি মানুষ টিকিট কাটার ওয়েব পোর্টাল হান্দাল ইন্দাহ এসডিএন এর অপেক্ষমান তালিকায় আছেন। এই পোর্টালটি ২৯ নভেম্বর থেকে চালু হবে। ট্রান্সস্টার ট্রাভেল পিটিই ইতোমধ্যে, ব্যবহারকারীদের একটি ‘ভার্চুয়াল ওয়েটিং রুম’-এর নির্দেশনা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অনলাইনে স্লট পাওয়া মাত্রই টিকিট ক্রয়ের পৃষ্ঠা খুলে যাবে। কর্তৃপক্ষ বলছে, টিকিট কাটার জন্য প্রচুর আবেদন জমা হচ্ছে।
সিঙ্গাপুর সরকার বুধবার জানিয়েছে, করোনা মহামারির আগে, কাজ বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ প্রতিদিন এই স্থল সীমান্ত পার হত। যারা উভয় দেশে কাজ করছেন তারা টিকিটের জন্য অগ্রাধিকার পাবেন।
সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী গ্যান কিম ইয়ং এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া উভয় দেশের অনেক শ্রমিক বহু মাস ধরে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন আছেন। আমরা শ্রমিকদের সমস্যা বুঝতে পারছি। তারা সীমিত আয় দিয়ে অবিলম্বে বাড়ি যাওয়ার জন্য বাসের টিকিট কিনতে পারছেন না।’
এইচএসবিসি হোল্ডিংস পিএলসি-এর এশিয়ান অর্থনৈতিক গবেষণার সহ-প্রধান ফ্রেডেরিক নিউম্যান বলেছেন, ‘বর্তমানে যতসংখ্যক মানুষকে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা প্রতিদিনকার স্বাভাবিক সময়ের ভ্রমণকারীদের সংখ্যার একটা সামান্য অংশ পূরণ করবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ সিদ্ধান্তটি দুই দেশের অর্থনীতিতে সুফল বয়ে আনবে।
তিনি বলেন, ‘উভয় দেশেই টিকা দেওয়ার হার সন্তোষজনক। তাই মনে হচ্ছে যে, বিধিনিষেধগুলি যথাসময়ে আরও শিথিল করা হবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উভয় দিকেই অনেক বেশি সংখ্যক ভ্রমণকারীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে, পর্যটনের স্বাভাবিক গতি ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগবে।’
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস