বিদেশ যাওয়ার সময় দালালের ফাঁদে পড়ছেন না তো?

0
1464
দালালের ফাঁদে
বিদেশ যাওয়ার সময় দালালের ফাঁদে পড়ছেন না তো?


আপনি বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেন। সকল ধাপ সম্পন্ন করে আপনার কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছেও গেলেন। কিন্তু আপনি কি বৈধ উপায়ে সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশযাত্রা সম্পন্ন করতে পেরেছেন? যদি এর উত্তর না হয়ে থাকে, তাহলে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে সীমাহীন দুর্ভোগ। আবার অনেকেই মাঝপথ থেকেই ভয়ংকর প্রতারণার শিকার হন। কারণ আপনার যাত্রার প্রতিটি ধাপে লুকিয়ে আছে দালালদের তৈরি ফাঁদ।

একজন অভিবাসন প্রত্যাশীকে অভিবাসন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালের (যাদেরকে ব্রোকার বা মিডলম্যান ও বলা হয়) খপ্পরে পড়তে হয়। শুধু বিদেশে পাঠানোর জন্য রিক্রুটিং এজেন্টদের গ্রাম্য দালাল সর্ম্পকে আমাদের ধারণা থাকলেও পাসপোর্ট তৈরি থেকে শুরু করে ভিসা, ফিঙ্গারিং, ট্রেনিং এমনকি বিদেশে বৈধ কাগজপত্র তৈরি করতেও বিভিন্ন দালালদের ফাঁদে পড়তে পারেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা।

মূলত: অসচেতনতা, স্বল্পশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাবে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিভিন্নধরণের দালালের প্রতারণার শিকার হতে হয়। এর ফলে একদিকে যেমন অভিবাসন ব্যায় বেড়ে যায়, অন্যদিকে অবৈধ পথে অভিবাসনের জন্য মানব পাচারের শিকার হয়ে নির্যাতিত হতে হয়।

বিদেশগামী বা অভিবাসন প্রত্যাশীকে ঘিরে যেভাবে দালাল চক্র তৈরি হয়ে থাকে তার কিছু উদাহরণ উল্লেখ করা যেতে পারে-

▪ গ্রাম্য বা স্থানীয় একক দালাল।

▪ ডেমো (ফিঙ্গারিং অফিসের দালাল)।

▪ ট্রাভেল এজেন্টের দালাল।

▪ পাসপোর্ট অফিসের দালাল।

▪ বৈদেশিক কর্মসংস্থান বা রিক্রুটিং এজেন্টের দালাল।

▪ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দালাল।

▪ দূতাবাস থেকে ভিসা প্রাপ্তির সহায়তা প্রদানকারী দালাল।

▪ বিমান বন্দরের দালাল (ইমিগ্রেশন পার করা ও গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দেওয়া)।

▪ অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্ত পার করার দালাল।

▪ অবস্থানকারী দেশের রিক্রুটিং এজেন্ট।

▪ অবস্থানকারী দেশের স্থানীয় দালাল (কাজের অনুমতি পাওয়ার জন্য)।

▪ অবস্থানকারী দেশের স্থানীয় দালাল (চাকুরি/মালিক পরিবর্তনের জন্য)।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here