যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচারের দায়ে বাংলাদেশী নাগরিকের কারাদণ্ড

0
966

মেক্সিকো থেকে বহিরাগতদের যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের পরিকল্পনায় ভূমিকা রাখার দায়ে এক বাংলাদেশী নাগরিককে ৪৬ মাসের কারাদণ্ডসহ পরবর্তী ৩ বছরের জন্য পর্যবেক্ষণের আওতায় মুক্ত রাখার দণ্ড দেয়া হয়েছে। ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত মামলার বিবরণ অনুযায়ী, দণ্ডিত মোক্তার হোসেন স্বীকার করেছেন যে, তিনি ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮’র আগস্ট পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে আনার পরিকল্পনা করেছেন এবং এনেছেন। মোক্তার হোসেন মেক্সিকোর মন্টেরিতে থেকে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। সেখানে তিনি একটি হোটেলের ব্যবস্থা রেখেছিলেন যেখানে বহিরাগতরা যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পথে আশ্রয় গ্রহণ করতো। এসব বহিরাগতকে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পৌঁছে দেয়ার জন্য তিনি গাড়িচালকদেরকে অর্থ দিতেন এবং কীভাবে রিও গ্র্যান্ডে নদী পার হতে হবে সে বিষয়ে বহিরাগতদেরকে পরামর্শ দিতেন।

জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের ক্রিমিনাল ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ডেভিড পি. বার্নস বলেন, ‘মামলার আসামী একটি সংগঠিত চোরাচালান নেটওয়ার্কের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন যিনি মুনাফার জন্য কাজ করতেন এবং যেসব বাংলাদেশী নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাইতো তাদেরকে শিকার বানাতেন। এই দণ্ডাদেশ অবৈধভাবে বিদেশীদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করানোর মতো আন্তঃসীমান্ত অপরাধ সংগঠনে জড়িতদের জন্য একটি সুস্পষ্ট নিরোধক হিসাবে কাজ করে ।’

‘সীমান্ত নিরাপত্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা আসলে একই বিষয়’ বলে মন্তব্য করেন টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলার জন্য নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি রায়ান কে. প্যাট্রিক। তিনি আরো বলেন ‘আমাদের অবশ্যই জানতে হবে কারা আমাদের দেশে প্রবেশ করছে এবং কাউকেই আমরা অবারিত সুযোগ দিতে পারি না।’

সান অ্যান্টোনিওস্থ যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’র হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন (এইচ এস আই)-এর ভারপ্রাপ্ত বিশেষ প্রতিনিধি শেন ফোল্ডেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী অপরাধমূলক পাচার নেটওয়ার্কগুলোকে শক্ত হাতে নির্মূল করতে এইচ এস আই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সাথে অব্যাহতভাবে কাজ করবে।’

জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের ক্রিমিনাল ডিভিশন এবং এইচ এস আই’র যৌথ অংশীদারভিত্তিক কার্যক্রম এক্সট্রা টেরিটোরিয়াল ক্রিমিনাল ট্রাভেল স্ট্রাইক ফোর্স (ইসিটি) কর্তৃক মামলার তদন্তটি পরিচালিত হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা বা জন নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি এবং মানব পাচার নেটওয়ার্ক বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকে ইসিটি ।

টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নির কার্যালয়ের সহায়তায় এই মামলার বিচারকাজ পরিচালনা করেন ক্রিমিনাল ডিভিশন’র হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড স্পেশাল প্রসেকিউশনস বিভাগের ট্রায়াল অ্যাটর্নি জেমস হেপবার্ন এবং এরিন কক্স।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here