গত তিন বছরে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কার্যত বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীতি ব্যর্থ হয়েছে বলে সরাসরি মন্তব্য করেছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টমাস অ্যান্ড্রুজ।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে গেল সপ্তাহে প্রচারিত টমাস অ্যান্ড্রুজের এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে এমন বক্তব্য উঠে এলো। বিশ্ব সম্প্রদায়ে ব্যর্থতার কারণ সম্পর্কে অ্যান্ড্রুজ সুস্পষ্ট কিছু বিষয় উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরির অর্থবহ পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমারের অব্যাহত অনিচ্ছা এবং বাংলাদেশকে তাদের মানবিক মিশন চালিয়ে যেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে উপকরণ দিতে না পারা।
সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই সহায়তা দিতে হবে এবং তাদের ব্যর্থতার জন্য জবাবদিহি করতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ আবাস ভূমিতে নিরাপদে ফেরার মৌলিক অধিকারকে সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিৎ ছিল সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের জড়িত করা।
এছাড়া ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের নিরাপদে বসবাসের জন্য ভাসানচর উপযোগী কি না তা জাতিসংঘের স্বাধীন মূল্যায়ন ছাড়াই সেখানে ১৬৪২ শরণার্থীকে স্থানান্তর করার ঘটনায় উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন বিবৃতিতে টম অ্যান্ড্রুজ। তিনি ভাসানচর নিয়ে জাতিসংঘ প্রস্তাবিত মূল্যায়নের ফল আসার পর এবং রোহিঙ্গারা সেখানে নিজেদের ইচ্ছায় যে যেতে আগ্রহী তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বাধীন পদ্ধতিতে নিশ্চিত হওয়ার পর উদ্বাস্তুদের সেখানে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।