আইওএম এর উদ্ধৃতি দিয়ে থম্পসন রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলছে, লিবিয়ায় বাংলাদেশের প্রায় ২০ হাজার অভিবাসী রয়েছে। আইওএম এর সেপ্টেম্বর এর তথ্যমতে, যেসব অভিবাসী ভুমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করার পর লিবিয়ায় ফিরে আসে তাদের মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান দ্বিতীয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ ১ হাজার ২১৪ জন বাংলাদেশি ফেরত আসাদের তালিকায় ছিল। এই বছর ইউএনএইচসিআর এর তথ্য মতে, ইতালিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে তিউনিশিয়ার পর বাংলাদেশিরা রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যত অভিবাসী দেশটিতে ঢুকেছে তার মধ্যে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ রয়েছে বাংলাদেশিরাই, সংখ্যার হিসেবে এ যা দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩৯১ জনে। মজার ব্যাপার হলো, গত বছরের একই সময়ে বাংলাদেশিদের এ স্থান নিয়েছিল পাকিস্তান। সে দেশ হতে ১২ শতাংশ মানুষ ইতালিতে পাড়ি দিয়েছিল ওই সময়ে। যেখানে বাংলাদেশের ছিল মাত্র ৪ শতাংশ।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে, আইওএম প্রতিবেদনে তুলে ধরেছিল যে, লিবিয়া থেকে ভলান্টারি হিউম্যানিটিরিয়ান রিটার্নের আওতায় (ভিএইচআর) ১৬৪ বাংলাদেশি ফিরে এসেছিল। এদের মধ্যে লিবিয়ার শহর মিদাহের চালানো হামলার শিকার হয়েছিল এমন নয় জন ছিল । এখানে পাচারকারীদের আস্তানায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের ওপর হামলায় মোট ৩০ জন অভিবাসী নিহত হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশি।