অধিকারকর্মীরা মালয়েশিয়ার কর্মচারী এবং প্রবাসী শ্রমিক উভয়ের জন্য সমান সুবিধা এবং ক্ষতিপূরণ প্রদানে সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থা (এসওসিএসও) এর নিকট আহ্বান জানিয়েছেন।
বর্তমানে মালয়েশিয়ান শ্রমিকরা ‘কর্মসংস্থান ইনজুরি প্রকল্প’ (ইআইএস) এবং ‘ইনভ্যালিডিটি পেনশন প্রকল্প’ নামক দুটি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। কিন্তু প্রবাসী শ্রমিকরা শুধুমাত্র ইআইএস প্রকল্পের সহায়তা পেয়ে থাকেন।
ইআইএস প্রকল্পটি মূলত, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা হতাহতের শিকার হলে শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করে। কিন্তু ‘ইনভ্যালিডিটি পেনশন’ প্রকল্পের আওতায় কর্মসংস্থান-সম্পর্কিত হতাহতের ঘটনা ছাড়াও অন্যান্য অনেক সামাজিক সুরক্ষা পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন ▪বিদেশি শ্রমিকদের উপর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে মালয়েশিয়া ▪শ্রমিকদের জন্য বহু-ভাষী অ্যাপ উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া ▪মালয়েশিয়ায় ভবন ধ্বসে বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত
নর্থ-সাউথ ইনিশিয়েটিভ (এনএসআই) এর নির্বাহী পরিচালক আদ্রিয়ান পেরেইরা সংবাদ মাধ্যম এফএমটিকে বলেন- যে মালয়েশিয়ার সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতি ‘বৈষম্যমূলক’ হওয়া উচিত নয়। তারা বৈধ হোক বা অবৈধ হোক, তাদেরকেও সমানভাবে সুযোগ সুবিধা প্রদান করা উচিত।
পেরেইরা বলেন যে, মালয়েশিয়ার অর্থনীতি অনথিভুক্ত প্রবাসী শ্রমিকদের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল এবং এসওসিএসও কে ‘এই বিষয়ে খুব বেশি আমলাতান্ত্রিক হওয়া উচিত নয়’।
পার্সাতুয়ান সাহাবাত ওয়ানিতা সেলাঙ্গর (পিএসডব্লিউএস) এর পরামর্শক এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা আইরিন জেভিয়ার বলেছেন, এসওসিএসও কে অবশ্যই প্রবাসী কর্মীদের দেওয়া সুবিধাগুলি বাড়াতে হবে।
তিনি বলেছেন যে, এটি যুক্ত হলে সব কর্মীদের জন্য সাহায্যের আবেদন করা আরো সহজ হবে । ‘তাদের টাকা থাকা সত্ত্বেও তারা শ্রমিকদের কয়েক হাজার রিঙ্গিত পাওয়ার জন্য আদালতে যেতে বাধ্য করেছে। শ্রমিকদের এসওসিএস এ চাঁদা দেওয়া উচিত, যাতে করে তাদের অর্থ অন্য কর্মীদের সাহায্য করার জন্য ব্যবহার করা যায়।
আইরিন বলেন, ‘এসওসিএস কর্মীদের স্বার্থে পরিচালিত একটি পরিকল্পনা হিসাবে নয় বরং একটি বিনিয়োগ সংস্থার মতো পরিচালিত হচ্ছে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।’
এদিকে, মালয়েশিয়ান ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেস (এমটিইউসি) সেক্রেটারি-জেনারেল কামারুল বাহারিন মানসোর বলেছেন যে, ‘ইনভ্যালিডিটি পেনশন স্কিম’ এ প্রবাসী শ্রমিকদের যুক্ত না করা অন্যায়’।
‘মালয়েশিয়ান ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেস’ সব মালয়েশিয়ান এবং প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান অধিকার পাওয়ার লক্ষ্যে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে।
এসওসিএস এর মতে, ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১৮ লাখ ৯৭ হাজার দুইশত ১২ জন প্রবাসী শ্রমিক তাদের সংগঠনে অবদান রাখছে।
দেশটির ডেপুটি মানবসম্পদ মন্ত্রী আওয়াং হাশিম বলেছেন যে, সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থা কর্মক্ষেত্রে কোভিড -১৯ এ সংক্রমিত কর্মীদের ১৫ হাজার ৩৬ টি ঘটনা সহ ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১১.১৯ মিলিয়ন রিঙ্গিত প্রদান করেছে। মালয়েশিয়ার কর্মীদেরকে ১০ মিলিয়নেরও বেশি অর্থ প্রদান করা হয়েছে।