জন্মসূত্রেপ্রাপ্ত প্রথম নাগরিকতার বাইরেও জীবন যাপনের নানা মানদন্ডের ভিত্তিতে যে কেউ দ্বিতীয়, তৃতীয় বা তার অধিক সংখ্যক নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারেন। বিংশ শতাব্দীর পর থেকে বিশ্বায়ন, অভিবাসন, স্থানান্তর এর সঙ্গে যুক্ত হতে থাকে একাধিক নাগরিকত্ব গ্রহণের এই প্রচলন।
প্রতিটি দেশের নিজস্ব নীতি অবলম্বনে নিজস্ব নাগরিকত্ব আইন রয়েছে। আপনি কোনো দেশে বসবাস করলে যে সে দেশের নাগরিক হবেন এমনটা নয়। আবাসন আর নাগরিকত্বের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কোনো দেশের বাসিন্দা হওয়ার অর্থ আপনি সেখানে বাস করেন, সেদেশের প্রতি আপনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে তবে আপনার নাগরিক হওয়ার অধিকার নেই। আবার, কেউ বসবাস না করেও শুধুমাত্র আইনগত শর্তের ভিত্তিতে দ্বৈত নাগরিকত্ব পেতে পারেন।
কোন দেশ কোন শর্তের ভিত্তিতে দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রদান করে তার উপর আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম অংশে থাকছে:
সরাসরি বংশসূত্রে প্রাপ্ত নাগিরকত্ব
কিছু দেশ রয়েছে যেখানে আপনার দাদা-দাদী অথবা নানা-নানি নাগরিক হলে আপনি দ্বিতীয় পাসপোর্টের জন্য যোগ্য হতে পারেন। এই তালিকায় থাকা দেশগুলো হল:
ইতালি,আয়ারল্যান্ড, মিশর, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড,লুক্সেমবার্গ, উইক্রেন, আমেরিকান সামোয়া, এন্টিগুয়াঅ্যান্ড বারবুডা, দ্য বৃটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, বেলিজ, জিব্রাল্টার, চিলি, জাম্বিয়া, লাটভিয়া ও লিথুনিয়া।
আবার এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে আপনি আপনার পিতা মাতা বা দাদা-দাদির মাধ্যমে আবাসনের সুযোগ পেতে পারেন।পরবর্তীতে, সেখানে নির্দিষ্ট সময়ে বসবাসের পরে আপনি একটি নাগরিকত্ব ও পাসপোর্টের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন। সেসব দেশগুলো হলো:
১. যুক্তরাজ্য
২. ফিনল্যান্ড
৩. দক্ষিণ আফ্রিকা
৪. মেক্সিকো
অতীতের ভুল শুধরে নিতে দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ প্রদান:
এমন দেশ রয়েছে যারা অতীতে সুনির্দিষ্ট কোনো জাতি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে, সেসব দেশ তাদের ভুল শুধরে নেওয়ার অংশ হিসাবে নাগরিকত্বের সুযোগ দিয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদি পরিববারগুলো জার্মানি, অস্ট্রিয়া এবং অন্যান্য দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল।
একইভাবে স্পেন এবং পর্তুগালের ইহুদি জনগোষ্ঠী ১৪০০ ও ১৫০০ সালে নির্বাসিত হয়েছিল। যদি আপনার পূর্ব পুরুষদের বাধ্য হয়ে তাদের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিতে হয় তবে আপনি সে দেশের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্টের জন্য যোগ্য হতে পারবেন।
অতীতের ভুলের জন্য নাগরিকত্ব প্রদানকারী কয়েকটি দেশের উদাহরণ হল:
১. জার্মানি
২. অস্ট্রিয়া
৩. হাঙ্গেরি
৪. স্পেন
৫. পর্তুগাল