অভিবাসনের ঢেউ ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে, অভিবাসীরাও ক্রমশ সংকটাপন্ন হচ্ছেন। জটিল ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে অভিবাসন গন্তব্য দেশগুলোতে। এবার এই সংকট ও জটিলতাকে আরো একটু উস্কে দিল ইতালির আলোচিত দ্বীপ লাম্পেদুসা থেকে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসীদের উদ্ধারের ঘটনাটি। গতকাল এখান থেকে ৫৩৯ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে ইতালির কোস্টগার্ড।
প্রসঙ্গত, সমুদ্রপথে ইতালিতে অভিবাসীদের প্রবেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। তবে এই উদ্ধারকৃতদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে। উদ্ধারকৃতদের সবাই ডুবতে থাকা একটি ফিশিংবোটে অবস্থান করছিলেন। ভুমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।
আরো পড়ুন
- ইতালির উপকূলে আটকে পড়া ২২ জনকে উদ্ধার, মৃত ১
- তিউনিসিয়ার অভিবাসীদের ঢলে বেসামাল ইতালি
- ভূমধ্যসাগরের অভিবাসীদের জন্য ইউরোপ দায়বদ্ধ
শনিবারের ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে ইতালির উপকূল থেকে এক দিনে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধারের ঘটনা। উদ্ধারের পর সব অভিবাসীকে লাম্পেদুসা দ্বীপে আনা হয়েছে।
ব্যাপক সংখ্যক অভিবাসী উদ্ধারের এই ঘটনাটি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস-এর একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, ইউরোপে আসার পথে লিবিয়ায় নৌকার জন্য অপেক্ষায় থাকা এসব অভিবাসীদের অনেকে লিবিয়ায় সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
লাম্পেদুসা দ্বীপের মেয়র তোতো মার্তেল্লো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে এবার উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, লাম্পেদুসা ইউরোপে প্রবেশের জন্য অভিবাসীদের অন্যতম বন্দর বলে বিবেচিত। গত মে মাসে ১ হাজারেরও বেশি অভিবাসী দ্বীপটিতে কয়েক ঘণ্টার জন্য অবস্থান করতে পেরেছিলেন। এই দ্বীপে একটি অভিবাসী ক্যাম্পও রয়েছে। যেখানে ৩০০ জনেরও কম থাকার ব্যবস্থা আছে।
সূত্র: বিবিসি