চলতি মাসের শুরুতে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় শাহীনের ক্ষত এখনো রয়ে গেছে গোটা ওমান জুড়ে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওমানের উত্তর আল-বাতিনাহ প্রদেশের শহর আল মুসান্নাহ, সুওয়াইক, সাহাম, খাবৌরাহ এবং সোহার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ওমানের ওয়াক্ফ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালযয়ের তথ্য অনুযায়ী, এসময় উত্তর আল-বাতিনাহ প্রদেশের প্রায় ২৫০ টিরও বেশি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদগুলি পরিষ্কার এবং সংস্কার করতে ওমানের এক হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক একত্রিত হয়েছেন। তারা ওয়াকফ্ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছেন।

ওমান সরকারের ওয়াকফ্ বিভাগের সহকারী পরিচালক নাজিব আল রুহাইলি বলছেন, বন্যার পানি প্লাবিত হওয়ায় অনেক ধর্মীয় স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রুহাইলি জানান- ‘ঘূর্ণিঝড় বাতিনাহ অঞ্চলে আঘাত হানার পর মন্ত্রণালয় একটি দল গঠন করে। দলটি একটি মাঠ জরিপ পরিচালনা করে ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদগুলি চিহ্নিত করে। তাদের এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, ঘূর্ণিঝড় শাহীনের আঘাতে ২৫০ টিরও বেশি মসজিদ, কিছু হেফজখানা ও ঈদগাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
রুহাইলি আরো জানান,‘কিছু মসজিদ বন্যার পানি ও কাদায় প্লাবিত হয়েছিল, কিছু মসজিদের এয়ার কন্ডিশনার মেরামত করা প্রয়োজন এবং এখনও অনেক মসজিদের নামাজের ঘরের কার্পেট পরিবর্তন করতে হবে। খাবৌরার অঞ্চলের সানা বনি গাফের এলাকায় একটি মসজিদ সম্পূর্ণভাবে ভেসে গেছে।’
স্বেচ্ছাসেবীরা পরিচ্ছন্নতা এবং মেরামতের কাজে অংশ নিয়েছিল, এ পর্যন্ত ৫০ টি মসজিদকে নামাজের জন্য পুনর্নির্মাণ এবং পুনরায় চালু করতে সহায়তা করেছে তারা। ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত দলটি মসজিদগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি এবং সুরক্ষামান বজায় রাখার জন্য কাজ করছে।’
মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে, তারা সানিয়া বনি গাফেরে ভেসে যাওয়া মসজিদটির জায়গায় আরেকটি নতুন মসজিদ নির্মাণ করবে।
রুহাইলি আরো বলেন, ‘আমরা সমস্ত স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানাই যারা অংশগ্রহণ করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদগুলি পুনরুদ্ধারের জন্য এমন মহান প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন । আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব মসজিদ পুনরায় চালু করার জন্য কাজ করছি।’
উল্লেখ্য, ওমানের ইতিহাসে গত ৭০ বছর পর এত বড় প্লাবনের মুখোমুখি হতে হয়েছে ওমানবাসীকে। গত ৩ অক্টেবর ওমানের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে ঘূর্ণিঝড় শহীন স্থলভাগে আঘাত হানে, এর সঙ্গে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিপাতে দেশটির ওই উপকূলীয় অঞ্চলের বিশাল এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।
সূত্র: মাসকট ডেইলি
আরো পড়ুন