চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে কমপক্ষে ৭৭ জন অভিবাসী মারা গেছেন। গত বছর মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল এক হাজার ৯০০ জন। যদিও ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে মৃত্যুর এ পরিসংখ্যান নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দেয়া তথ্যমতে, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে যারা অভিবাসনের উদ্দেশে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছেন, যাদের এখনও কোনো খোঁজ মেলেনি তাদের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার ।
ধরা হয়েছিল যে, বিশ্বব্যাপী গড়ে আট হাজার মানুষ নিজের দেশ থেকে পালানোর সময় মারা গিয়েছিল। উইএনএইচসিআর-এর তথ্যমতে, ২০১৬ সালে পাঁচ হাজারেরও বেশি শরণার্থী তাদের জীবন হারিয়েছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে গিয়ে। ভূমধ্যসাগর অভিবাসীদের জন্য ভয়ংকর মৃত্যুফাঁদ। গত কয়েক বছরে রেকর্ডসংখ্যক হতাহত ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে এখানে।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমধ্যসাগর পশ্চিম, মধ্য এবং পূর্ব পথ দিয়ে এগিয়ে এক হয়ে গেছে। এই রুটগুলির মধ্যে মধ্য ভূমধ্যসাগর ছিল সবচেয়ে মারাত্মক পথ। ২০১৬ সালে প্রায় ৪ দশমিক ৬ হাজার মানুষ এ পথ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রাণ হারিয়েছিল। দুঃখের বিষয়, লাশগুলিকে শেষ পর্যন্ত সনাক্তকরণও অসম্ভব ছিল। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালেও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ডুবে যাওয়া শরণার্থীদের সিংহভাগকে চিহ্নিত করা যায়নি এবং তারা কোন দেশের নাগরিক তাও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।