রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ছড়িয়েছে এমন অ্যাকাউন্টেরে তথ্য দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে আদেশ দিয়েছেন মার্কিন আদালত।
সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিচারক মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বিরোধী সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত বন্ধ হওয়া অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশের জন্য ফেসবুককে নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১৯ সালে ‘জাতিসংঘের গণহত্যা সংক্রান্ত কনভেনশন’ লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে গাম্বিয়া। মামলার কার্যক্রমের জন্য ফেসবুকে প্রকাশিত বিদ্বেষমূলক তথ্যের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গোপনীয়তা বিষয়ক আইনের দোহাই দিয়ে এ সম্পর্কিত তথ্য প্রদানে ফেসবুক অনাগ্রহ দেখায় । এর পরিপ্রেক্ষিতে, যুক্তরাষ্ট্রের আদালত বলেছেন, ফেসবুক যেসব তথ্য ডিলিট করেছে তা আইনের মাধ্যমে ফেরানো সম্ভব নয়।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য দেশটির বিচার করতে চাওয়া তদন্তকারীদের কাছে তথ্য হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হওয়ায় ওয়াশিংটন ডিসির বিচারক ফেসবুকের সমালোচনা করেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া বক্তব্যে বিচারক বলেছেন, যে পোস্টগুলি মুছে ফেলা হয়েছে তা আইনের আওতায় পড়বে না।
২০০৭ সালের আগস্টে সামরিক অভিযানের মুখে ৭ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ওই সময় রোহিঙ্গাদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, গণহারে হত্যা ও নির্যাতন করা হয়, বহু রোহিঙ্গা নারী ধর্ষণের শিকার হন। কিন্তু মায়ানমার কর্তৃপক্ষ বরাবরই বলছে যে তারা একটি সশস্ত্র বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং নিয়মতান্ত্রিক নৃশংসতাকে অস্বীকার করছে।
ফেসবুকে গত ১০ বছরে মায়ানমারে সংঘটিত বিভৎসতাসহ এই সময় রোহিঙ্গারা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারিত হয়। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলছেন, ২০১৮ সালে মায়ানমারে সামরিক অভিযানে ইন্ধন জাগানো ঘৃণাত্মক বক্তব্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্মটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।