সমালোচনার মুখে অভিবাসী-শরণার্থীদের তাঁবু দিতে বাধ্য হলো বসনিয়া

0
1100

তীব্র শীত ও প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে অভিবাসী ও শরণার্থীরা কোথায় থাকবেন-এর কোনো সমাধান না করেই হুট করে ২৩ ডিসেম্বর বসনিয়ার লিপা ক্যাম্প বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কাকতালীয়ভাবে এদিনই আগুনে পুড়ে যায় ক্যাম্পটি

সুন্দর আগামীর ভবিষ্যতের স্বপ্ন প্রতিনিয়তই যেন থমকে যাচ্ছে। কুয়াশা আর নিথর বরফে ক্রমশই চাঁপা পড়ছে অসংখ্য মানুষের পথচলার শেষ শক্তিটুকু। বলা হচ্ছে  ক্রোয়েশিয়া-বসনিয়া সীমান্তে লিপা শরণার্থী শিবিরে অমানবিক ও প্রতিকুলতার সঙ্গে লড়াইরত অভিবাসী ও শরণার্থীদের কথা। একে তো দীর্ঘ সময় ধরে দুঃসহ পরিস্থিতির যন্ত্রণা ভোগ করছেন তারা, এর ওপর আবার মরার খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে, প্রায় একসপ্তাহ আগে নিজেদের আশ্রয়ের শেষ জায়গা শরণার্থী ক্যাম্পে আগুন লেগে সবকিছু পুড়ে যাওয়ার ঘটনা। এতে করে স্বপ্ন পূরণতো দূরের কথা, জীবন বাঁচানোই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব হতভাগ্য অভিবাসনপ্রত্যাশী মানুষদের জন্য।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের সরেজমিন প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, বসনিয়ার লিপায় আগুন লেগে শরণার্থী ক্যাম্প পুড়ে যাওয়ার পর খোলা আকাশের নিচে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও বৈরী আবহাওয়ায় রাত কাটাচ্ছেন অভিবাসী ও শরণার্থীরা। এ খবর ছড়িযে পড়ার পর চারদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আসা এ সমালোচনার কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে বসনিয়া। দাবি মেনে নিয়ে বসনিয়ার সেনাবাহিনি অভিবাসী ও শরণার্থী এসব মানুষদের তাঁবুর ব্যবস্থা করেছে। এরই মধ্যে লিপায় তাঁবু নিয়ে পৌঁছেছে ১৫০ সদস্য বিশিষ্ট সেনাবাহিনির একটি দল। জানা গেছে, তাঁবু স্থাপন ও অভিবাসীদের থাকার জন্য পুরো ব্যবস্থাপনা তত্ত্বাবধান করবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম।

এর আগে শুক্রবার অভিবাসী ও শরণার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং তাদের জন্য সরবরাহ করা খাবার খেতেও অস্বীকৃতি জানায়। এসময় তারা নিরাপদ ও স্বাভাবিকভাবে থাকার ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তার দাবি জানান।

জানা গেছে, লিপা শরণার্থী শিবিরে প্রায় বারোশো শরণার্থী আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এই ক্যাম্পেই গত ২৩ ডিসেম্বর আগুন ধরে যায়। মূলত অভিবাসীদের কোথায় রাখা হবে বা তারা কোথায় থাকবে এর কোনো সুরাহা ছাড়াই হুট করে এদিনই বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল শিবিরটি। তবে বসনিয়া সরকার ও শরণার্থী শিবির পরিচালনার সঙ্গে যুক্তদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে একেবারে পরিকল্পনা করে অভিবাসী ও শরণার্থীরাই ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here