কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর উদ্যোগে আজ খুলনা প্রেস ক্লাবে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি-২০২২ ও জ্বালানি সনদ চুক্তির নানাবিধ বিষয়ে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
ক্যাব আয়োজিত এ সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তারা ভোক্তা অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জ্বালানী রূপান্তর নীতি প্রণয়ন ও জ্বালানী সনদ চুক্তি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে বিদেশি কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে দেশের সাধারণ ভোক্তা সাধারণের ওপর যেন কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সতর্ক থেকে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
এদিন সকাল ১০টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সংলাপে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাব এর রিসার্চ কোঅর্ডিনেটর প্রকৌশলী মনজেরে আহসান মো. গোলাম কিবরিয়া। সংলাপ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ক্যাব, খুলনা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম। সংলাপ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ক্যাব, খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক এম. নাজমুল আজম ডেভিড। সভায় জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন: জলবায়ু বিপর্যয় রোধে ‘গ্রিন ইসলাম’ ধারণা কতোটা কার্যকর?
ক্যাব এর রিসার্চ কোঅর্ডিনেটর প্রকৌশলী মনজেরে আহসান মো. গোলাম কিবরিয়া তার বক্তব্যে বলেন, জ্বালানী রূপান্তর নিয়ে সরকার এখন পর্যন্ত কোনো নীতি কাঠামো তৈরি করেনি। তবে আমরা একটি নীতি তৈরি করে সরকারের কাছে পেশ করেছি। আশা করছি সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেবে। এছাড়া তিনি তার বক্তব্যে আরো জানান, বিশ্বব্যাপী বর্তমানে আমরা যে জ্বালানী ব্যবহার করছি, তা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই অবস্থা পরিবর্তন করে জলবায়ু সুরক্ষার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব জ্বালানী উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে।
আরো পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতি ৩ জনের একজন বাস্তুচ্যূত হবে!
সভাপতির বক্তব্যে ক্যাব, খুলনা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম বলেন, জনসাধারণের বলিষ্ঠ অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো নীতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। জ্বালানী সনদ চুক্তি জনস্বার্থবান্ধব কিনা তা আরো বেশি করে উপলব্ধি করতে হবে। তা না হলে আমাদের কোনো দাবিই বাস্তবায়িত হবে না।
সংলাপে বক্তারা আরো জানান, বিদ্যুৎ, গ্যাস তথা জ্বালানির দাম যখন বাড়ে, তখন বলা হয়- দাম বাড়ানো হয় না, আর্থিক ঘাটতি কমানো হয়। আর্ন্তজাতিক বাজারে যখন জ্বালানির দাম বাড়ে তখন ভর্তুকি নিয়ন্ত্রণে মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে- এমন ব্যাখ্যা দেয়া হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম যখন বছরের পর বছর কম থাকে, তখন দেশে বিদ্যুৎ বা জ্বালানির দাম কমে না।
আরো পড়ুন: কপ২৬: কার্বন কমানোর সম্মেলনে পরিবেশিত হচ্ছে অধিক কাবর্নযুক্ত খাবার!
এছাড়া জ্বালানি রূপান্তর পথনকশায় আমাদের ভোক্তা অধিকার, পরিবেশ অধিকার কতটুকু সুরক্ষিত? জ্বালানি নিরাপত্তা-জ্বালানি অধিকার-পরিবেশ সুরক্ষা-ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের করণীয় কী হতে পারে? জ্বালানি সনদ চুক্তিতে চুড়ান্ত স্বাক্ষর করলে আমাদের ভোক্তাস্বার্থ কতটুকু সুরক্ষিত হবে-সেসব বিষয় নিয়ে মতামত তুলে ধরেন উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা।
সূত্র: সংবাদ বিজ্ঞপ্তি