আজ সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে, দেশটি চলমান কোভিড -১৯ বিধিনিষেধ আগামী মাস থেকে শিথিল করতে যাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন এর পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণকে উদ্ধৃত করে, স্থানীয় গণমাধ্যম ইয়োনহ্যাপ নিউজ এজেন্সি বলেছে, ‘সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে থাকায় ও ব্যাপকহারে টিকা প্রদানের মাধ্যমে আমরা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছি।’
টিকা দেয়ার হার ৭০ শতাংশ অতিক্রম করার একদিন পর এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। মুন বলেন, ‘আশা করছি নভেম্বরে অবস্থা পরিবর্তন হতে শুরু করবে।’
পরের মাস থেকে, যখন চলমান বেশিরভাগ করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে তখন আবারো খুলবে ব্যবসা-বাণিজ্যের দুয়ার। সেই সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রা সচল হতে শুরু করবে। তবে সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এদিকে গত ২১ অক্টোবর বাংলাদেশের ওপর আরোপিত ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ঢাকায় কোরিয়ান দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসার আবেদন গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় এবং কোরিয়াতে যাওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসায় কোরিয়া সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দূতাবাস আরো জানায়, কোরিয়ায় যেতে হলে অবশ্যই দুই ডোজ করোনার টিকা গ্রহণ করতে হবে এবং ভ্রমণের আগে, ভ্রমণের সময় ও দেশটিতে পৌঁছানোর পর সবধরনের করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
চলতি বছর এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় দক্ষিণ কোরিয়া।
কোরিয়া ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এজেন্সির মতে, দেশটির ৪০.৭ মিলিয়ন মানুষ বা জনসংখ্যার ৭৯.৪ ভাগ এ পর্যন্ত তাদের প্রথম কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন ডোজ পেয়েছে। আর সম্পূর্ণভাবে টিকা পেয়েছে ৩৫.৯ মিলিয়ন বা মোট জনসংখ্যার ৭০ ভাগ মানুষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে এক হাজার ১০০ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে গত তিন সপ্তাহ ধরে দেশটিতে সংক্রমণের হার কমেছে।
এজেন্সির তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৮৯ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে ২৭৭৩ জন।