ভিন্ন একটি দেশে পড়তে যাওয়ার সময় প্যাকিং এর ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি যে সমস্যাটা হয়, সেটা হলো ওভারপ্যাকিং। বিশেষ করে দীর্ঘ মেয়াদে যারা দেশের বাইরে পড়তে যাচ্ছে, তাদের কাছে মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক যে, যত বেশি পরিমাণে সম্ভব ততবেশি জিনিস সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়াটাই ভালো। কিন্ত বাস্তবে এই একগাদা জিনিস টেনে নিয়ে যাওয়াটা আসলে ঝক্কিই বাড়াবে আপনার, অন্য কিছু নয়।
তাই ব্যাগ গোছানোর সময় ওভারপ্যাকিং এর প্রলোভন থেকে বাঁচতে হলে যা করতে পারেন –
প্রথমত, প্যাকিং এর কাজটা একটু আগেভাগেই শুরু করুন। প্রথমেই আপনার মতে যেসব জিনিস নেয়ার প্রয়োজন হবে, সেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন। এবার নিজেকেই জিজ্ঞাসা করুন যে, এখানকার সমস্ত জিনিস আপনার আসলেই প্রয়োজন কিনা। আপনার প্যাকিং এর জিনিসগুলোকে শার্ট, প্যান্ট ইত্যাদির মতো বিভাগে ভাগ করুন এবং প্রতিটি বিভাগে কতগুলি আইটেম আপনার সত্যিই প্রয়োজন তা চিন্তা করে দেখুন৷
দ্বিতীয়ত, ভারী এবং অপ্রয়োজনীয় আইটেমগুলোকে সবার আগে বাদ দিন। যে বইগুলো আপনি গত একবছরেও ছুঁয়ে দেখেননি, বিদেশে গিয়ে অবশ্যই আপনার সেগুলো পড়ার সময় হবে না।
এছাড়াও, যেসব জিনিসের সহজেই বিকল্প যোগার করা সম্ভব, সেগুলো বাড়িতে রেখে যাওয়াই ভালো। যেমন ধরুন, আপনার সাধের ভারী হেয়ার ড্রায়ারটি। আপনি যখন বিদেশে পৌঁছে সস্তায় আরেকটি হেয়ার ড্রায়ার কিনে নিতে বা ধার করতে পারবেন। তাই এই ধরণের ভারী জিনিস এতদূর টেনে না নিয়ে যাওয়াই ভালো।
আরো পড়ুন
বিদেশে পড়তে গেলে কী কী সঙ্গে নেবেন: জামাকাপড় প্যাকিং ও অন্যান্য
ইউরোপের যেসব দেশে ফ্রিল্যান্স ভিসা দেওয়া হয়
তৃতীয়ত, আপনার রিটার্ন ট্রিপের কথা মাথায় রাখুন। আপনি অবশ্যই ফেরত আসার সময় কিছু স্মৃতিচিহ্ন বা স্মারক নিয়ে আসতে চাইবেন। তাছাড়া আপনার দেশের বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু স্থানীয় উপহারও নিয়ে আসার ইচ্ছা হতে পারে আপনার। সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাগগুলি যদি সেখানে যাওয়ার পথেই প্রায় ফেটে পরার মতো অবস্থা হয়, তবে আপনি ফিরতি পথে বেশ সমস্যায় পড়তে পারেন। এটি মোকাবিলা করার একটি ভাল উপায় হলো, এমন কিছু পোশাকের অন্যান্য আইটেম আনা, যা আপনার বাড়ি ফেরার পর ফেলে দিতে বা অন্যদের উপহার হিসেবে দিয়ে দিতে সমস্যা হবে না।
হাল্কা পাতলা প্যাক করার জন্য আরেকটি কৌশল হলো, একটি ছোট ব্যাগ ব্যবহার করা। আপনি যদি আপনার লাগেজের আকার সীমাবদ্ধ রাখেন, তাহলে আপনাকে শুরুতেই জিনিসপত্র বাছাই করতে হবে অনেক সাবধানে। তাছাড়া বড় একটি স্যুটকেসের নিয়ে যাতায়াতের থেকে হাল্কা পাতলা একটি ব্যাগ বহন করা অনেক সুবিধাজনক। এছাড়াও পাবলিক ট্রান্সপোর্টে নেভিগেট করা, লিফট ছাড়া হোস্টেল থাকা এসব ক্ষেত্রে একটি ঢাউস আকৃতির স্যুটকেসের নিয়ে ঘোরাফেরা করার পরিবর্তে ছোটখাটো একটি ব্যাগ আপনার জীবনকে অনেক সহজ করে তুলবে। সর্বোপরি আপনাকে এয়ারলাইন্সের ওজন সীমার কাছাকাছি থাকতে উৎসাহিত করতে পারে স্বল্প প্যাকিং এর অভ্যাস।