২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ‘বিশেষ অভিযান’ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে উল্লেখযোগ্যসংখক শিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এছাড়া অসংখ্য শিশু আহত হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ অভিযান’ শুরুর পর থেকে ১৫ লাখেরও বেশি শিশু দেশটি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭৫ হাজারেরও বেশি শিশু শরণার্থী হয়েছে।
ভয়ংকর তথ্য হলো, প্রতি এক মিনিটে ৫৫ টি শিশুকে তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে এবং এদের ললাটে যুক্ত হচ্ছে শরণার্থী পরিচয়টি। বলা হচ্ছে ব্যাপক হারে সংঘঠিত এই শরণার্থী সংকট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অন্যরকম এক মাত্রা যোগ করে করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে শরণার্থীদের এই ঢল হ্রাসের তেমন কোনো লক্ষণ নিকট ভবিষ্যতে নেই।
ইউক্রেনের শরণার্থী শিশুরা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে। এসময় পরিবার ও অভিভাবক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এসব শিশুরা সহিংসতা, নিপীড়ন ও পাচারের মতো ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে।
বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন এ সংকট নিরসনে এবং শিশুদের পূর্ণ নিরাপত্তা সেবা দেয়ার জন্য, বিশেষ করে যেসব শিশু অভিভাবক ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে তাদের দিকে বাড়তি নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এজন্য সবার আগে যেকোনো মূল্যে যুদ্ধ থামাতে হবে বলেও মত দিয়েছেন তারা। এরই মধ্যে শিশুদের সুরক্ষা ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য ইউনিসেফসহ বিভিন্ন দেশ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এ সহায়তা যথেষ্ঠ নয়।
সূত্র: ইউনিসেফ