যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কোনো পরিকল্পনাই যেন কাজে আসছে না। একের পর এক অভিবাসন বিরোধী পরিকল্পনা করেও তিনি ঠেকাতে পারছেন না অভিবাসী ঢল। গত রোববার ৬০০ জনেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে। যা কিনা চলতি বছরের যেকোনো একদিনের হিসাবে সর্বোচ্চ সংখ্যক। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এমন তথ্য জানিয়েছে।
রোববার ছোটো ছোটো নৌকায় চড়ে ৬১৬ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ফ্রান্স থেকে যাত্রা করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ ৪৯৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার রেকর্ডটি ছিলো চলতি বছরের এপ্রিলের ২২ তারিখ। সবমিলিয়ে এবছরের এখন পর্যন্ত আট হাজারেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে। গত বছরের একই সময় পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিলো ছয় হাজার।
আরো পড়ুন: বিতর্কিত অভিবাসন বিলের ভোটাভুটিতে ঋষি সুনাকই জিতলেন
যদিও গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ডোভারে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, নৌকা চড়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রবেশ উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা ফলপ্রসু হয়েছে। তার দাবি প্রথমবারের মতো নাকি এ সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
অভিবাসন রোধে ঋষি সুনাকের নেয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিলো: যদি কোনো অভিবাসন প্রত্যাশী বিনা অনুমতিতে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে, তাহলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে তার নিজ দেশ অথবা রুয়ান্ডার মতো তৃতীয় কোনো দেশে ফেরত পাঠানো হবে। ঋষি সুনাকের এই পরিকল্পনা তুমুল বিতর্কের ঝড় তোলে অভিবাসী অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক সংগঠন ও মানবাধিকার বিষয়ক যৌথ কমিটির মধ্যে।
বিলটি হাউজ অব কমনসে পাস হওয়ার পর গতকালও হাউজ অব লর্ডসে বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে। লিবারেল ডেমোক্রেট ব্যারোনেস লাডফোর্ড এর মতে, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে অভিবাসন প্রত্যাশীরা ‘লাঞ্চনা, নিপীড়ন ও ভয়’ এর মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।