এখনো বছর পেরোতে ঢের বাকি। তবুও চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই (জানুয়ারি-মার্চ) ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ৬ হাজার ৭০১ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ইতালিতে প্রবেশ করেছে। গত বুধবার দেশটির পার্লামেন্টের সেনজেন কমিটির বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুসিয়ানা লামোরজেসে এ তথ্য দিয়েছেন।
বলা হচ্ছে, আগত এ অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে ৩ হাজার ৩২৩ জনকে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকি ৩ হাজার ৩৭৮ জনকে নিজেদের মতো করে ইতালিতে প্রবেশ করেছে। সাগর থেকে উদ্ধারকৃত অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে ১ হাজার ৫৯৫ জনকে উদ্ধার করেছে কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।
এসময় পার্লামেন্টে লামোরজেসে উল্লেখ করেন, লিবিয়া ও তিউনিসিয়া থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশী ইতালিতে পাড়ি জমিয়েছেন। যদিও তার মতে, আগের চেয়ে এ দেশ দুটি থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের চাপ কিছুটা কমেছে।
অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লামোরজেসে সতর্ক করে বলেছেন, তিউনিশিয়ার মতো যেসব দেশ ইউক্রেন রাশিয়া থেকে গম আমদানি করে সেসব দেশে ইউক্রেন সংঘাতের কারণে খাদ্য সংকট দেখা দেখা দিয়েছে। আর এসবই অভিবাসন স্রোতে প্রভাব ফেলতে পারে।
অভিভাবকহীন ৪৭৫ শিশু এসেছে ইউক্রেন থেকে
ইউক্রেন থেকে কতসংখ্যক অভিভাবকহীন শিশু ইতালিতে প্রবেশ করেছে সে প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৪৪টি মেয়ে শিশু ও ২৩১টি ছেলে শিশুসহ মোট ৪৭৫টি অভিভাবকহীন শিশু ইতালিতে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে ৩৮টি শিশুর বয়স ৫ বছরের নিচে।
অভিভাবকহীন শিশুদের গ্রহণ করা প্রসঙ্গে ইতালির বিদ্যমান আইন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অভিভাবক হিসেবে পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের বিবেচনা করার অনুমতি দেয় না (ইতালির বর্তমান আইন)।’ এক্ষেত্রে একজন নাবালকের সঙ্গে আসা ব্যক্তিকে অভিভাবক হিসেবে স্বীকৃতি নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদনের প্রয়োজনীয়তার দিকটিও তুলে ধরেন তিনি।
সূত্র: ইনফো মাইগ্রেন্টস ইংরেজি থেকে ভাষান্তরিত