ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এর উদ্যোগে গত ৩০ নভেম্বর শুরু হয়েছে বার্ষিক ‘গ্লোবাল মাইগ্রেশন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঠানো অসংখ্য চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে বাছাই করা পাঁচটি ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে এ বছরের উৎসবে। এ উৎসবে প্রামাণ্যচিত্র, পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে আইওএম এর পাঁচ বছর পূর্তি করবে। এসব চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে অভিবাসন সম্পর্কিত নানা বিষয়কে তুলে ধরা হবে।
এ বছর অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র উৎসবটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন কিনা পুরো পৃথিবীর করোনা মহামারির সংকটের কবলে। একারণে এবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে নির্ধারিত চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে। মূলত আইওএম চলচ্চিত্র উৎসবটিকে সফল করে তোলার জন্য নানা আয়োজনের পসরা সাজিয়ে থাকে। প্যানেল আলোচনাসহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও উপস্থাপন করে সাধারণের উদ্দেশে। এবছরও এসবই হবে, তবে পার্থক্যটা হলো তা হবে শুধু ভার্চুয়ালি।
এ বছর এ উৎসবে প্রদর্শনের জন্য ৮০০ টিরও বেশি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্য থেকে মাত্র পাঁচটি চলচ্চিত্রকে সারা বিশ্বের দর্শকদের দেখানোর জন্য বৈশ্বিক অনলাইন প্লাটফর্মে প্রচারের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। নির্বাচিত ছবিগুলো হলো অ্যামিগডালিয়া (গ্রিস); নির্মাণ করেছেন ক্রিস্টিয়ানা ফোবি, রেভল্যুশন ফ্রম আফার (ইউএসএ); নির্মাণ করেছেন বেন্টলি ব্রাউন, ওমর অ্যান্ড আচ (পোলান্ড); নির্মাণ করেছেন ম্যারিনা এ গোরবাচ ও মেহমেট বাবাদির ইআর, ৮০০০ পেপারক্লিপস (ইসরায়েল); নির্মাণ করেছেন নিটসান টাল, ওমেন কান্ট্রি (তুর্কি); নির্মাণ করেছেন সিরিন বাহার দেমিরেল।পূর্ণদৈর্ঘ্য এ চলচ্চিত্রগুলোতে তুলে ধরা হয়েছে অভিবাসনের চ্যালেঞ্জ, প্রতিজ্ঞসহ এমন কিছু মৌলিক অনন্য অবদান। উৎসবটি নিয়ে আয়োজকদের ভাষ্য: আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় আলোচিত ইস্যু অভিবাসন নিয়ে উন্মুক্ত আলেচনার পথ প্রশস্ত করে দেয়া।
গত বছর আইওএম এর গ্লোবাল মাইগ্রেশন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রায় ১০টিরও বেশি দেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য আহ্বান করা হয়েছিল। প্রায় ৬০ হাজার দর্শক অংশগ্রহণ করেছিল সেবার। মজার ব্যাপার হলো চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হয়েছিল মরুভূমির ভেতর, শরণার্থী শিবির ও অভিবাসীদের ট্রানজিট সেন্টার, বিশ্ববিদ্যালয় ও শহরের ফিল্ম ক্লাবগুলোয়। চলতি বছরের উৎসবের সমাপনী টানা হবে ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে। এবছরের পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে অনলাইনে। যদিও উৎসবটির চিরাচরিত রীতি হলো জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া।