বাংলাদেশ হতে শ্রম অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, অধিক রেমিটেন্স আহরণ, প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত ব্যুরো, প্রতিষ্ঠানসমূহ জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক হাজার ১৮ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা (যা প্রস্তাবিত মোট বাজেটের ০.১৩%)। যা বিগত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রকৃত বরাদ্দের চেয়ে প্রায় ৪১৯ কোটি টাকা বেশি।
আপাতদৃষ্টিতে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এই বছর বাজেট বরাদ্দ বেশি হলেও অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের তুলনায় এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ বেশ নগণ্যই বলা চলে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় মূলত চারটি শ্রম অভিবাসন সংশ্লিষ্ট বিষয় বিবেচনায় রেখে বাজেটটি প্রণয়ন করেছে; তাহলো: দক্ষ জনশক্তি প্রেরণের সংখ্যা বৃদ্ধি, নতুন নতুন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরী, অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের কল্যাণ নিশ্চিত করা, এবং মাথাপিছু রেমিটেন্স আয় বৃদ্ধিকরণ।
আমরা যদি মোটা দাগে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক বাজেট বরাদ্ধ দেখি, তাহলে দেখতে পাবো- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (৩১.৯৩%) ও বিএমইটির (৩৫.৪৬%) জন্যই বরাদ্দ তুলনামূলকভাবে বেশি। এরপরই রয়েছে টিটিসির (১৭.৮৩%), বিদেশে অবস্থিত লেবার উইং (৯.৭৯%), এবং জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয় (৩.০১%) এর জন্য বরাদ্দ। (সূত্র: বাজেট ডকুমেন্ট (২০২৩-২৪), অর্থ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার)
খাতওয়ারি বাজেট বিশ্লেষণ:
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মী প্রেরণে এই বছর বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে, যেমন এই ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে তারা দক্ষ ও স্বল্প দক্ষ কর্মী প্রেরণের অনুপাত নির্ধারণ করেছে ৩০:৭০। আবার কর্মী প্রেরণে পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ৩৪% বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বৈধ ও ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সরকার বছরে ৩০ বিলিয়নের বেশি ডলার রেমিটেন্স হিসেবে আনয়নে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। যদিও এই লক্ষমাত্রাগুলো বাস্তব সম্মত, কিন্তু এর অর্জন অনেকাংশে নির্ভর করে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ ও কার্যকর তদারকির উপরে।
বাজেট ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, চলতি অর্থ বছরে মন্ত্রণালয় শ্রম অভিবাসন শোভন, নিরাপদ ও লাভজনক করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ভিতর উল্লেখযোগ্য হলো: কমপক্ষে চারটি দেশে দক্ষ কর্মীর চাহিদা নিরুপন ও তদানুযায়ী দক্ষ কর্মী তৈরিতে নির্দেশনা প্রদান, কমপক্ষে আট লক্ষ ২০ হাজার কর্মী বিভিন্ন দেশে প্রেরণ, ৭২ হাজার অভিবাসীকে বৈধ মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রেরণে উৎসাহিত করা এবং ১০০ জন প্রবাসীকে অর্থনৈতিক অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সিআইপি (CIP) প্রদান।
বিএমইটি’র (BMET) প্রধান বরাদ্দের খাতের ভিতর উল্লেখযোগ্য হলো: ঢাকা কারিগরি প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন (১৭ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা), উপজেলা পর্যায়ে নতুন ১৫টিসহ ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন (২৭০ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা), এবং ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে (৫০ কোটি টাকা) বরাদ্দ প্রদান।
এছাড়া অন্যান্য প্রশাসনিক (Administrative and Operational) ও সেবা (Service Delivery) খাতে যেসব বিষয় লক্ষ্যমাত্রা বিবেচনায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তাহলো: ছয় হাজার ৩৬০ জন পুরুষ ও ৫০ হাজার নারী কর্মী প্রশিক্ষিতকরন, ১৫০ জন প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ প্রদান, ৩ লক্ষ ৮০ হাজার দক্ষ পুরুষ কর্মীকে ছাড়পত্র প্রদান, ৬৫ হাজার নারী কর্মীকে ছাড়পত্র প্রদান, শোভন অভিবাসন নিশ্চিতে রিত্রুটিং এজেন্সী ও বায়রার (BAIRA) সঙ্গে ৪টি আলোচনা সভা করা, দক্ষ কর্মীর ডাটাবেস (Database) সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের (Stakeholder) সঙ্গে কমপক্ষে ৪টি সভা করা, ৭৫০টি রিত্রুটিং এজেন্সির অফিস ও কার্যক্রম তদারকি ও পরিদর্শন, কমপক্ষে ৪০০ অভিবাসী শ্রমিকদের অভিযোগ নিষ্পত্তিকরন, নিরাপদ অভিবাসনে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ও পদ্ধতিতে ৬টি প্রোগ্রাম ও প্রচারণা করা ইত্যাদি।
আরো পড়ুন: জাতীয় বাজেট: অভিবাসী শ্রমিকদের প্রত্যাশা ও বাস্তবতা
ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড (WEWB) বা প্রবাসী কল্যাণ বোর্ডের আওতায় চলতি অর্থ বছরে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তার ভিতর উল্লেখযোগ্য হলো: দেশে ফেরত বা প্রত্যাবর্তনে এক লক্ষ অভিবাসী কর্মীকে পুনর্বাসন বা পুনরেকত্রীকরণ (অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সেলিং, দেশে কর্মসংস্থান ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে দেশে পুনর্বাসন করা), এবং অভিবাসনপ্রবণ চারটি উপজেলায় চার ৪০০ অভিবাসী কর্মীর পরিবারকে উৎপাদনশীল খাতে রেমিটেন্সের কার্যকর বিনিয়োগে উৎসাহিত করন।
এক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে সর্বমোট ২৭০ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা, যার ভিতর শুধু রেইস (RAISE-প্রত্যাবর্তিত অভিবাসী শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান) প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ২৬৪ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা।
এছাড়া বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশী মিশনসমূহে যেসব কার্যক্রমের জন্য ৯৯ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তার ভিতর উল্লেখযোগ্য হলো: দূতাবাস বা মিশনের মাধ্যমে অভিবাসী শ্রমিকদের দায়েরকৃত ৮৫০টি অভিযোগের নিষ্পত্তিকরণ, বিদেশে আটকে পড়া বা নির্যাতিত ৬০০ জন কর্মীকে আইনি সহায়তা প্রদান, অভিবাসী শ্রমিকদের অবস্থা ও অবস্থান (বাসস্থান ও কর্ম পরিবেশ) পর্যবেক্ষণের জন্য দুই হাজার ৬৫০টি স্থল (spot) পরিদর্শন (যেমন ক্যাম্প, ডরমিটরি, জেলখানা ইত্যাদি), বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের (অনিবাসী বাংলাদেশী, স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক বা ছাত্র) সঙ্গে সুনিবিড় সংযোগ স্থাপনের জন্য এক হাজার প্রবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করা, বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রেরণে প্রবাসীদের উৎসাহী করতে ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ এর ভিতর ‘খসড়া গাইডলাইন বা নির্দেশিকা’ প্রস্তুতকরণ, এবং নিরাপদ অভিবাসনে জনসচেতনা বৃদ্ধির জন্য বিদেশে কমপক্ষে ৮০টি প্রচারণা সম্পন্নকরণ।
অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সুরক্ষার জন্য আর কি করা যেতে পারে?
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএমইটির উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিগত ৪ বছর ধরে ২১ বিলিয়ন ডলারের অধিক রেমিটেন্স বৈধ মাধ্যমে দেশে এসেছে। অন্যদিকে ধারণা করা হয়, হুন্ডি বা অবৈধ চ্যানেলে সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে- যার রেকর্ড বা পরিসংখ্যান আমাদের কাছে সঠিকভাবে নেই।
রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি ছাড়াও প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স সরাসরি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের রয়েছে বিশাল অবদান।
এতো অবদান থাকা সত্ত্বেও, তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে কার্যক্রম বা পদক্ষেপ খুব একটা তাৎপর্যপূর্ণ নয়। বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট বরাদ্দ ও লক্ষ্যমাত্রা বিশ্লেষণ করলেই সহজে অনুধাবন করা যায়।
তাই বিদেশে অবস্থিত অনিবাসী বাংলাদেশী ও অভিবাসী শ্রমিকদের দেশে ও দেশের বাইরে সুরক্ষা নিশ্চিত, আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোর আওতায় অধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক অবদানের স্বীকৃতি প্রদান ও দক্ষ জনশক্তি গঠনে সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ও বরাদ্দের সঙ্গে আরও যা সংযোজন করা যেতে পারে তাহলো:
১. প্রত্যেক টিটিসির (TTC) প্রশিক্ষককে (Instructor) (দেশভিত্তিক প্রাক-বহির্গমন, প্রাক-কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ, হাউসকিপিং প্রশিক্ষণ, ভাষা প্রশিক্ষণ) উচ্চতর প্রশিক্ষণ (ফাউন্ডেশন ট্রেনিং ও রিফ্রেশার্স ট্রেনিং) প্রদান।
২. বিনামূল্যে ও ভাতাসহ বিদেশগমনেচ্ছুক কর্মীকে দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদি কারিগরী ও ভাষা প্রশিক্ষণ প্রদান, হাউসকিপিংসহ (Housekeeping) অন্যান্য কারিগরী প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় টুলস, মেশিনারিজ ও ইকুইপমেন্ট সরবরাহ ও রিপেয়ারিং নিশ্চিতে বাজেট বরাদ্দ।
৩. আবাসিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে আবাসস্থল বা ডরমেটরি ব্যবস্থাপনা আধুনিকীকরণের জন্য বাজেট বরাদ্দ করা যেতে পারে।
৪. দক্ষ ও প্রশিক্ষিত বিদেশ ফেরত কর্মীকে টিটিসিগুলোর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্তকরণ ইত্যাদির জন্য লক্ষ্যমাত্রা ও কৌশল নির্ধারণ ও বাজেট বরাদ্দ করা যেতে পারে।
আরো পড়ুন: শ্রম অভিবাসনের বিভিন্ন ধাপে কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজনীয়তা
৫. বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা (Training Manual, Training Module) প্রণয়ন, প্রিন্টিং ও বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ উপকরণ (Training Materials) শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা যেতে পারে।
৬. অভিবাসী কর্মীর শোভন কর্মপরিবেশ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে কাজের চুক্তি নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রশিক্ষণ আয়োজন।
৭. জেলা পর্যায়ে উন্নত সেবা প্রদানে ডেমোর (DEMO) সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ডেমোর মাধ্যমে বছরব্যাপী অধিকতর জনসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে যেতে পারে।
৮. মানব পাচার প্রতিরোধে ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে ভিজিল্যান্স টাস্ক ফোর্স (VTF) এর মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সংখ্যা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
৯. বিদেশে অবস্থিত মিশন ও দূতাবাসগুলোর কর্মকর্তা ও লেবার এটাচিদের শোভন কর্ম পরিবেশ, অভিবাসীর অধিকার ও কল্যাণ বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য বাজেট বরাদ্দ দেয়া যেতে পারে।
১০. বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স আনয়নে ও ব্যাংকে সঞ্চয় বৃদ্ধি করতে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারকে উৎসাহ প্রদান ও সচেতন করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম, প্রণোদনা ও দিবস পালন গ্রহণ করা যেতে পারে।
১১. উৎপাদনশীল খাতে রেমিটেন্সের বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে বিনামূল্যে আর্থিক সাক্ষরতা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা যেতে পারে। এর জন্য জেলা ভিত্তিক পরিকল্পনা ও লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে বরাদ্দ বাড়ানো যেতে পারে।
১২. সরকারি উদ্যোগে নির্যাতিত বিদেশ ফেরত কর্মীদের (বিশেষ করে মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের) বা প্রত্যাবর্তিত অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারকে মনোঃসামাজিক কাউন্সেলিং (Psychosocial counseling) সেবা (পুনরেকত্রীকরণের জন্য) প্রদান করা যেতে পারে।
১৩. কল্যাণ তহবিলের আওতায় কল্যাণ সেবা সহজে প্রাপ্তির জন্য সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে প্রচারণা চালানো যেতে পারে।
প্রবাসী কর্মী (Migrant Worker) ও অনিবাসী বাংলাদেশিরা (Non-Resident Bangladeshi) প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রেখে আসছেন বিভিন্ন উপায়ে।
আরো পড়ুন: ইউরোপে স্বপ্নের অভিবাসন : মাধ্যম, সুযোগ ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ
সফল অভিবাসী কর্মীর প্রেরিত রেমিট্যান্সে সন্তানরা সুযোগ পাচ্ছে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের, পরিবার পাচ্ছেন উন্নত জীবনযাপন, চিকিৎসা সেবা, ও অর্থনৈতিক সুরক্ষা। প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিতে যদিও সরকার কল্যাণ তহবিল (Wage Earners Welfare Fund) থেকে বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
কিন্তু তা সুবিধা প্রান্তিক পর্যায়ের অভিবাসীর পরিবারের নিকট সঠিকভাবে পৌঁছায় না। এ জন্য আসলে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ, সঠিক পরিকল্পনা, চাহিদা নিরুপন ও তদানুযায়ী বাজেট বরাদ্দ ।
লেখক : শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষক ও উন্নয়ন কর্মী