আইসিটি বিভাগের সঙ্গে আমি প্রবাসী লিমিটেড এর সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হয়েছে। ঢাকার আইসিটি টাওয়ারস্থ বিসিসি মিলনায়তনে গতকাল আইসিটি বিভাগের যুগ্ম সচিব মোঃ আতাউর রহমান খান এবং আমি প্রবাসী লিমিটেড এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নামির আহমেদ নুরি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ।
অনুষ্ঠানে আমি প্রবাসী লিমিটেড এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নামির আহমেদ নুরি তার স্বাগত বক্তব্যে আমি প্রবাসী অ্যাপ এবং ওয়েব পোর্টালের বিভিন্ন ফিচার এবং তার সাফল্য তুলে ধরেন। আমি প্রবাসী থেকে প্রাপ্ত বিশাল ডেটা কীভাবে বাংলাদেশ সরকারকে অভিবাসন খাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করছে তা সবিস্তারে আলোচনায় উঠে আসে তার বক্তব্যে।
অনুষ্ঠানে নিজের অভিমত তুলে ধরে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, যারা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে তারাই কিন্তু আজকে এই মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
এসময় প্রবাসীদের ডাটা ব্যাংক সংরক্ষণের বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি এমন স্মার্ট একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আমি প্রবাসী লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান।
আরো পড়ুন : সুন্দর জীবনের স্বপ্ন জাগিয়ে রোহিঙ্গা শিশুদের দুঃসহ স্মৃতি ভোলাচ্ছে তেরে দেস হোমস
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আইসিটি বিভাগের সঙ্গে আমি প্রবাসীর মেলবন্ধন প্ল্যাটফর্মটিকে সামনে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং ভবিৎষ্যতে প্রবাসীদের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ, মার্কেটপ্লেস, রেমিট্যান্স সুবিধা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করা যাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উভয়পক্ষের সমান দায়িত্ব ও অংশীদারিত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, প্রবাসীদের জন্য দ্রুত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়। এছাড়া প্রবাসীদের যাবতীয় সুবিধা একই প্লাটফর্মে আসতে শুরু করায় অনলাইন সেবা পেতে শুরু করেছে বিদেশগামী কিংবা প্রবাসীরা।
মন্ত্রী তার বক্তব্যে সেবা প্রদান সহজীকরণের ক্ষেত্রে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ ব্যবহারকারী আমি প্রবাসী অ্যাপ থেকে সেবা পেয়েছেন। এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিবন্ধিত বিদেশগামী কর্মীদের বিএমইটি নম্বর ‘সুরক্ষা’য় প্রেরণ করে অভিবাসী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রদানের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে মহামারী চলাকালে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য বিদেশগামী কর্মীদের সহায়তার জন্য সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশি প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে তৈরি বিশ্বে এ ধরনের অ্যাপ এটিই প্রথম। অনুষ্ঠানে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রত্যয়ে তারুণ্যের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে এগিয়ে চলা দেশে আমি প্রবাসী লিমিটেড আরও অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন অতিথিরা।