সিসিলিয়ান ল্যাম্পেডুসা দ্বীপ অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে ওঠার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নৌবাহিনীর মাধ্যমে শত শত অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীকে স্থানান্তর করতে শুরু করেছে ইতালি।
সম্প্রতি ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, নৌবাহিনীর মার্কো জাহাজটি ল্যাম্পেডুসা থেকে সিসিলির অন্য কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে ৬০০ জনকে নিয়ে গেছে এবং সেখান থেকে তাদের দেশের অন্যত্র পাঠানো হবে। স্থানান্তরের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, সাম্প্রতিক বছরগুলির তুলনায় জুলাই মাসে ইতালিতে প্রতিদিনের আশ্রয়প্রার্থীদের আগমনের ক্ষেত্রে একটি উর্দ্ধমুখী স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রয়েছে।
আরো পড়ুন: বসবাসের জন্য ইতালির সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা কোনটি?
সামগ্রিকভাবে, চলতি বছর আগমনের সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়েছে এবং ৩০ হাজার শরণার্থী এখন পর্যন্ত প্রবেশ করেছে-সংখ্যাটি ২০২১ সালের একই সময়ের মধ্যে ২২ হাজার ৭০০ এবং ২০২০ সালে ৭ হাজার ৫০০ ছিলো।
ল্যাম্পেডুসা দ্বীপ; যা মূল ভূখণ্ড ইতালির চেয়ে উত্তর আফ্রিকার কাছাকাছি অবস্থিত। প্রায়শই লিবিয়ান-ভিত্তিক অভিবাসী চোরাকারবারীদের পছন্দের গন্তব্য এটি। এই চোরাকারবারীরা বিপজ্জনক ডিঙ্গি এবং নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার সময় ভয় দেখিয়ে সাহায্যের নামে জনপ্রতি শত শত ডলার আদায় করে।
ল্যাম্পেডুসার প্রাক্তন মেয়র জিউসি নিকোলিনি সাম্প্রতিক সময়গুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে তোলা ফটো এবং ভিডিওগুলি পোস্ট করেছেন। যাতে দেখা যায়, নতুন আগতদের মেঝেতে ফোমের টুকরো দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং বাথরুমে প্লাস্টিকের বোতল এবং আবর্জনা দিয়ে স্তূপ করা হয়েছে।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘নতুন এই ল্যাম্পেডুসা স্বাগত কেন্দ্রে দুই হাজার ১০০ জন লোককে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। অথচ এই আশ্রয়কেন্দ্রে মাত্র ২০০ জনের জন্য থাকার ব্যবস্থা আছে এবং বিছানা রয়েছে ২০০টি। এমনটা লিবিয়ার দৃশ্য হলেও হতে পারে, কিন্তু না এটা ইতালির দৃশ্য! আর এরাই বেঁচে গেছে।’
আরো পড়ুন: গত সাত মাসে কোন দেশের কতজন সাগরপথে ইতালি গেছেন?
ডানপন্থী আইনপ্রণেতারা অভিবাসনের বিষয়ে খুব নরম হওয়ার জন্য ইতালির সরকারের বামপন্থী দলগুলিকে দোষারোপ করেছিলেন। ইতালির ডানপন্থী ব্রাদার্স পার্টির জর্জিয়া মেলোনি ছবিসহ টুইট করেছেন ‘এবং এটি বামদের বিখ্যাত মানবিক মডেল হবে? বৃহৎ অবৈধ অভিবাসনকে না বলার অর্থ এটিকে না বলা।’
সূত্র: আলজাজিরা