জেসি লিচাউকো : সীমানাজয়ী এক মহিয়সী

0
1004

 

আমি নিজেকে ফিলিপাইনের জনগণের একজন অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করি। নিজেকে কখনোই বহিরাগত কিংবা বিদেশি হিসেবে মনে করি না। একথা সত্য আমার চেহারায় বিদেশিছাপ রয়েছে। কিন্তু হৃদয়ে আমি একজন ফিলিপিনো।


ফিলিপাইনের মহীয়সী মানবাধিকার কর্মী জেসি লিচাউকো।সীমানা-কাঁটাতারকে তুচ্ছ করে দূর দেশে গিয়ে যিনি জয় করেছেন হাজারো মানুষের হৃদয়। ১০৮ বছর বয়সী এ নারীর জন্ম কিউবায় হলেও বংশসূত্রে তিনি একজন আমেরিকান। ১৯৩০ সালে আঠারো বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি একাকি জাহাজে চেপে বসেন এবং ইউরোপ হয়ে ম্যানিলার উদ্দেশে জাহাজে চেপে চলে আসেন ফিলিপাইনে। এরপর সেখানেই থেকে গেছেন, স্থায়ী হয়েছেন-বিয়ে করেছেন, সংসার সাজিয়েছেন, মানবাধিকার কর্মী হিসেবে দেশ, জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং ধীরে ধীরে নিজের হাতে গোটা জীবনের পুরো ইতিহাসটাই স্বর্ণাক্ষরে মুড়িয়েছেন-হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তী।


১৯১২ সালের ১০ জানুয়ারিতে জেসি লিচাউকো জন্মগ্রহণ করেন।আদতে জেসি লিচাউকোর পারিবারিক আবহটা অন্যরকম। কোন বিশেষ একটি দেশ বা স্থানে নিজেদের আটকে রাখার পাত্র তারা নন। লিচাউকোর বাবার কথাই ধরুন। তার বাবা স্প্যানিশ-আমেরিকার যুদ্ধের পর কিউবায় স্থায়ী হয়েছিলেন। এরপর সেখানে লিচাউকোর মায়ের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। পরবর্তীতে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মূলত তাদের প্রস্থানের পর কিউবা থেকে লিচাউকোকে পড়াশুনা ও বেড়ে ওঠার জন্য পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার সেন্ট অগাস্টিনে।


১৯৩০ সালে আঠারো বছর বয়সে ফিলিপাইনের নাগরিক আইনজীবী ও কূটনীতিক মার্শিয়াল লিউচাউকোর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রথমবারের মতো ফিলিপাইনে আসেন। এখানে ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট টমাস গীর্জায় তিন বছরের মাথায় ১৯৩৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। মজার ব্যাপার হলো নতুন করে তৈরি করা এ গীর্জায় প্রথম যুগল হিসেবে তাদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকে মোটামুটি পুরোটা সময়ই ফিলিপাইনে কাটিয়ে দিয়েছেন তারা।

বিচিত্র জীবন


শুরু থেকেই ভিন্ন ভিন্ন দেশে, পরিবেশে বেড়ে ওঠায় তার জ্ঞানের ঝুলিতে যোগ হয়েছিল বিচিত্রসব অভিজ্ঞতা। ফ্লোরিডায় পড়াশোনা শেষ করার পর ওয়াশিংটন ডিসিতে কর্মজীবন শুরু করেন জেসি লিচাউকো। এখানেই তার সঙ্গে পরিচয় ঘটে মার্সিয়াল পি. লিচাউকোর সঙ্গে। মার্সিয়াল পি. লিচাউকো ফিলিপাইনের প্রথম নাগরিক যিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ছিলেন ওসরক্স মিশনের সেক্রেটারি। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ফিলিপাইনের স্বাধীনতার লাভের জন্য কুটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর খ্যাতি রয়েছে মার্শিয়ালের। মার্শিয়াল যখন নিজ দেশে ফিরে আসেন তখন তিনি জেসি লিচাউকোকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তার আগে তিনি তাকে তার দেশ ফিলিপাইনে ঘুরতে আসার আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলন আগে লিচাউকো তার দেশ ঘুরে যাক, যেখানে সে বসবাস করবেন।

জেসি লিচাউকো-মার্শিয়াল লিউচাউকো যুগলের বিবাহিত জীবনের স্থায়ীত্ব ছিল দীর্ঘ ৩৯ বছর। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত মার্শিয়াল ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও সুইডেনে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালে মার্শিয়ালের মৃত্যুর পর কিছু সময় যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়েছেন জেসি লিচাউকো। ফিলিপাইনের গবেষক ও শিক্ষার্থীদের অবস্থানের জন্য ম্যাচাচুচেটসে তিনি একটি বাড়িও তৈরি করেছিলেন। ২০১৩ সালের রিপাবলিক অ্যাক্ট ১০৩৫৬ অনুসারে লিচাউকোকে ফিলিপাইনের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। তিনি ফিলিপাইনের ভাষা শিখেছিলেন এবং সংস্কৃতি চর্চা করতেন।


শ্রদ্ধা রাখুন: ‘আমি চাই বনাম আমি চাই না’র প্রতি


‘আমাদের একে অপরের মধ্যে চূড়ান্ত শ্রদ্ধাবোধ ছিল’ লিচাউকোর উক্তি। ‘‘আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ভালোবাসা ও সামঞ্জস্যতার মধ্যে ফারাক রয়েছে এবং আপনাকে যদি এর কোনো একটিকে বাছাই করে নিতে বলা হয়, তাহলে আপনি অবশ্যই সামঞ্জস্যতাকে বেছে নিবেন। তিনি আরো যোগ করেন, ‘আমি চাই এবং আমি চাই না-বিষয় দুটি সত্যিই অনুমোদনযোগ্য নয় সুখী বিবাহিত ও সুখী জীবনযাপনের জন্য।’ কখনো কখনো তৃপ্তিবোধের বিষয়টি আপনাকে স্থির করতেই হবে সুখের চেয়ে। সুখ বিষয়টি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের মধ্যে জড়িয়ে আছে। কিন্তু এর বেশিরভাগই কিন্তু তৃপ্তির বিষয়।’’


দেশ কিংবা জাতি নয় মানবতাই যখন মূখ্য বিষয়


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ম্যানিলা কীভাবে ধংসপ্রাপ্ত হয়েছিল তা প্রত্যক্ষ করেছেন জেসি লিচাউকো। তিনি দেখেছেন দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধে ম্যানিলা রক্তাক্ত ও নৃশংসতার মুখোমুখি হয়েছিল। মার্কিন সৈন্যরা এ শহরটির স্বাধীনতাকে জাপানিদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। যদিও যুদ্ধের ব্যাপকতা এতই বেশি ছিল যে, হাজার হাজার সৈন্য প্রাণ হারিয়েছিল, অসংখ্য মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছিল এবং ব্যাপক মাত্রায় হত্যা সংগঠিত হয়েছিল। এ নিয়ে জেসি লিচাউকো : ‘তখন ছিল বিশৃঙ্খলা ও হতাশা। ওই সময় আমার স্বামী ও আমি হেরানের একটি পুরোনো বাড়িতে বসবাস করি। সেখানেই কিছু স্বেচ্ছাসেবিকার সহায়তায় আমরা একটি অস্থায়ী হাসপাতাল বানিয়ে ফেলি। মানুষ আমাদের কাছে শুন্য হাতে হতাশাগ্রস্ত চোখে আসতো, যে করুণ দৃশ্য আমি কখনো ভুলতে পারি না।’ মানবতার বিষয়টি তখন সবচেয়ে বড় হয়ে ধরা দিয়েছিল আমাদের কাছে। লিচাউকোর এক রাতের অভিজ্ঞতা ছিল এমন : ‘খুব ঝড়ো আর হিম শীতল এক রাতে আমরা আদা চা বানিয়েছিলাম। এক জাপানি প্রহরী ছিল আমাদের গেটের কাছে। আমি তাকেও এক কাপ পাঠিয়ে দিলাম। সেই মানুষটি চা হাতে নিল কোনো রকম দ্বিধা ছাড়াই এবং স্বাভাবিকভাবেই তা পান করলো। অথচ চাইলেই আমি তাকে বিষ দিয়ে আক্রান্ত করতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার হৃদয় থেকে তা করতে পারিনি। কাজটি করার সময় আমি শুধু ভেবেছি রাস্তায় হয়তো কোনো একজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। হয়তো একজন জাপানি এই মহানুভবতা আমাদের মানুষদের ওপর প্রকাশ করবে একদিন।’
জেসি লিচাউকো সবসময়ই হৃদয় দিয়ে মানুষের প্রতি তার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করেছেন। যাদের কখনোই জীবনে একদিনের জন্য দেখেননি কিংবা অপরিচিত আগুন্তুক সবাইকেই তিনি নিজ হাতে খাবার খাইয়েছেন। এমনকি তাদের ডেকে এনে নিজের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করেছেন। পরবর্তীতে তিনি এতিম অনাথ ও নিপীড়িত শিশুদের কাজ করেছেন। ‘সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে আমি বহু আগে থেকেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলাম’ আমাকে দিয়ে যদি কিছু করার থাকে তাহলে যেন সে কাজটি আমার কাছে পাঠিয়ে দাও।’


লিচাউকো অ্যাসোসিয়েশন ডি ডামাস ডি ফিলিপিনাস এ যোগ দিয়েছিলেন এবং একটি প্রতিষ্ঠান তৈরিতে মনোযোগ দিয়েছিলেন। যেটি কিনা পরিচালিত হয়েছিল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক। তিনি ও তার স্বামী সান্টা আনায় একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছিলেন যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থীদের জন্য। পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটিকে হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছিলেন। কমপক্ষে ২ হাজার মানুষকে তারা সেবা দিয়েছেন এখানে। পরে এই স্থাপনাটিকে স্থায়ী ভবনে রূপদান করেন এবং এর সভাপতি হিসেবে নয় বছর দায়িত্ব পালন করেন। লিচাউকো রেড ফেদার এজেন্সির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। পাশাপাশি লিচাউকো ১০০জন শিক্ষার্থীর পড়াশুনা শেষ করার দায়িত্বও পালন করেছেন।


ধারণ করার চেতনা

আজও লিচাউকো বসবাস করছেন স্প্যানিশ উপনেবিশিক আমলে গড়া ২০০ বছরের একটি পুরোনো বাড়িতে। বাড়িটির পাশ দিয়ে নদী বয়ে চলেছে। হ্যাঁ, এটাই সত্যি যে, আজ একশো আট বছর বয়সেও জেসি লিচাউকো তার ম্যানিলার ঘরের জানালার পাশে নিয়মিত বসেন. প্রকৃতি উপভোগ করেন এবং অন্যদের সঙ্গে সোনালী দিনের অনুভূতি ভাগাভাগি করেন। যা শুনে অন্য সবাই কিছু না কিছু অর্জন করছেন ও শিখছেন।


একশো ছয় বছর বয়সে জেসি পুরো জগটা দেখেছেন কিন্তু ফিলিপাইনকে হৃদয়ের গহীনে আঁকড়ে ধরে থেকেছেন পরম ভালোবাসা দিয়ে। ‘আমি নিজেকে ফিলিপাইনের জনগণের একজন অংশীদার হিসেবে বিচেনা করি।’ আমি নিজেকে কখনোই বহিরাগত কিংবা বিদেশি হিসেবে মনে করি না। একথা সত্য আমার চেহারায় বিদেশি ছাপ রয়েছে। কিন্তু হৃদয়ে আমি একজন ফিলিপিনো। চোখ দুটো মেলো এবং হৃদয়কে প্রসারিত করো এবং অন্য সবকিছুই অনুসরণ করবে।


চলচ্চিত্রের পর্দায় জেসি লিচাউকো


জেসি লিচাউকোর জীবনী নিয়ে একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে; নাম কিউরিসিটি, অ্যাডভেঞ্চার অ্যান্ড লাভ। ছবিটিতে ফিলিপাইনে নিজের অভিবাসী জীবন, মার্শিয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ, ফিলিপাইনের ইতিহাস নিয়ে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফিলিপাইনের জনগণকে নিয়ে তার ভেতরের অনুভূতি তুলে ধরা হয়েছে। ছবিটি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্পেশাল জুরি প্রাইজ, ফিলিপাইনের চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি ২০১৬ সালে বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়েছিল।


অসাধারণ এই নারীর কৌতুহলেপূর্ণ জীবন, অ্যাডভেঞ্চার ও ভালোবাসাকে এই প্রামাণ্যচিত্র নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছে। চলচ্চিত্রটি এখানে জেসির সামগ্রিক জীবনের জানালা হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। যার মধ্য দিয়ে তার মনন, ফিলিপাইনের ইতিহাসের ভেতরের নৈঃশাব্দিক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছে। আরো তুলে ধরে মানবিক জীবনের গতিপ্রকৃতিকে। ছবিটির নির্মাতা জেসি লিচাউকোর নাতনি ডি লিও তার চলচ্চিত্রের আখ্যান হিসেবে পুরোনো আলোকচিত্র এবং তার নানির কথপোকথনকে ব্যবহার করেছেন। ‘১৯৯৮ সাল থেকে আমার মাথার মধ্যে তাকে নিয়ে গল্প বলার চিন্তাটি ঘুরঘুর করছিল’, উইকেন্ড রিভিউকে বলেন ডি লিও।


যেখানে তিনি তার নানির কৌতুহল, অ্যাডভেঞ্চার ও ভালোবাসাকে পরোক্ষভাবে রোমান্থন করেছেন।প্রখ্যাত সাংবাদিক ডি লিও তার নানির উপদেশ পেয়েছেন সরাসরি।তার অভিজ্ঞতা: তিনি (আমার নানি) পৃথিবীর বিশালতার গল্প তার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে হাজির করতেন।


অনন্য ঘটনাপ্রবাহ

‘আমার নানী এমন এক মুহূর্তের স্বাক্ষী যা কিনা ২০ শতকের ফিলিপাইনকে গড়ে তুলেছিল। তিনি তখন অন্য একটি দেশে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলেন এবং তার জগৎ গড়ে উঠেছিল। আমার বিশ্বাস যুদ্ধপূর্ববর্তী সময়ে যারা বেঁচেছিল এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে টিকে থাকা প্রজন্মের ভেতরকার গল্পগুলোকে তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ। ডি লিও চলচ্চিত্রটি তৈরির কারণ সম্পর্কে বলছেন এভাবে, ফিলিপাইনের ইতিহাসকে আরো বেশি করে জানার জন্য মানুষদের উৎসাহিত করতে চেয়েছিলাম। একইসঙ্গে তিনি তার জীবনে যে ইতিহাস বয়ে নিয়ে চলেছেন তাও বিস্তারিত বলতে চেয়েছি।

অসাধারণ জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে নিজেকে একজন সাধারণ নারী হিসেবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন জেসি লিচাউকো। যে সাধারণ জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তিনি অর্থপূর্ণ করে তুলেছেন অনবদ্যভাবে। তা না হলে কীভাবে সম্ভব ছিল ১৯৩০ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই নিজের দেশ আমেরিকা ছেড়ে ফিলিপাইনের মতো একটি দেশে একাকি ঘুরতে আসলেন এবং জীবনের বাকি সময়টা কাটিয়ে দিলেন এখানেই! এখানে যে তিনি খুব স্বাচ্ছন্দ্যে হাসিখুশিভাবেই জীবন কাটাতে পেরেছিলেন তা নয়, যুদ্ধ এবং ব্যক্তিগত মানসিক সংকটও তাকে গ্রাস করেছিল। তারপরও দমে যাননি এই মহিয়সী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here