তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ১৩ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম রেডিও মোজাইক জানিয়েছে, তিউনিসিয়ার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় শহর এসফ্যাক্সের উপকূলে নৌকাডুবির কারণে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দুটি নৌকায় চড়ে অনিয়মিত উপায়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছিলেন। এ সময় এল আমরা নিকটবর্তী শহরের কাছাকাছি এলাকায় নৌকা দুটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
স্থানীয় প্রাদেশিক বিচার বিভাগের কর্মকর্তা মুরাদ তুর্কির উদ্ধৃতি দিয়ে মোজাইক এফএম গত শনিবার বলেছে, নৌকা দুটি ডুবে যাওয়ার পর ১৩ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় ৩৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। মুরাদ তুর্কি আরো জানিয়েছেন, এখনো প্রায় ১২ জনের মতো অভিবাসন প্রত্যাশী নিখোঁজ রয়েছেন।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছিলেন, লিবিয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেলে প্রায় ১০০ অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছে।
ইউরো-মেডিটেরিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটর তাদের বার্ষিক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গেল বছর ১ হাজার ৮৬৪ জন অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছে অথবা নিখোঁজ হয়েছে, যা কিনা ২০২০ সালের তুলনায় চার শতাধিক বেশি। ওই বছর ১ হাজার ৪০১ জন মারা গিয়েছিলেন কিংবা নিখোঁজ হয়েছিলেন।
মূলত দারিদ্র ও যুদ্ধের কবল থেকে রক্ষা পেতে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপে অভিবাসনের এই চেষ্টা প্রতিরোধের জন্য রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান ভূমধ্যসাগর থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের উদ্ধার করে ইউরোপে পাঠানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
সূত্র: এএনআই